৩৪ বছর বয়সি বিষ্ণু কুমারকে গত ১৬ জুলাই একটি মোবাইল ফোন চুরির মামলায় ডেকে পাঠানো হয় আড়শা থানায়। ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফিরলেও, তার তিন দিন পর ১৯ জুলাই হঠাৎ করেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, থানায় পুলিশি হেফাজতে মারধরের ফলে বিষ্ণু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কলকাতা হাইকোর্ট
পুরুলিয়ার আড়শা থানার পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের জেরে বিষ্ণু কুমার নামে এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই মামলায় এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দেন, বিষ্ণুর মরদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে এবং তা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারি মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান কল্যাণীর এইমসে।
৩৪ বছর বয়সি বিষ্ণু কুমারকে গত ১৬ জুলাই একটি মোবাইল ফোন চুরির মামলায় ডেকে পাঠানো হয় আড়শা থানায়। ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফিরলেও, তার তিন দিন পর ১৯ জুলাই হঠাৎ করেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, থানায় পুলিশি হেফাজতে মারধরের ফলে বিষ্ণু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার জানায়, মৃত্যুর ঠিক পরদিন পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু সেই রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদযন্ত্র, যকৃত ও কিডনি বিকলের কথা উল্লেখ করা হয়। অথচ শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলেই দাবি করা হয়।
তবে পরিবারের অভিযোগ, ওই রিপোর্টে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে এবং প্রকৃত সত্য গোপন করা হয়েছে। ফলে তারা দেহ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। সুবিচারের আশায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এবার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ৭ অগস্ট এইমসে ফের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের আইনজীবী সাগ্নিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।