মোটামুটি বিয়ের পর থেকে, হানিমুন ফেজেই আটকে রয়েছেন সোনাক্ষি সিনহা ও জাহির ইকবাল। একের পর এক ট্যুরে, দেখা মিলছে দুজনেপ। প্রসঙ্গত, বিয়ের আগে সোনাক্ষি ও জাহিরের প্রেম ছিল ৭ বছরের। গত বছর জুন মাসে নিজের বাড়িতেই আইনি বিয়ে করেন শত্রুঘ্ন-কন্যা। তরপর বিকেলে, শিল্পা শেট্টির পারিবারিক রেস্তোরাঁয় আত্মীয়-পরিজন-বন্ধুদের নিয়ে নৈশভোজ।
আপাতত একে-অপরের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাচ্ছেন সোনাক্ষি ও জাহির। বিয়ের আগেও একসঙ্গে কম ঘোরেননি, বিয়ের পরও বিশ্বভ্রমণে মজেছেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা মলদ্বীপ, মিশর, ফিনল্যান্ড, বুদাপেস্ট-র মতো জায়গা থেকে পোস্ট করেছেন। আর এবার দুজনে সুইৎজারল্যান্ডে।

সোনাক্ষি সিনহা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি রোম্যান্টিক ছবি শেয়ার করেছেন। এই ছবিতে সোনাক্ষিকে জাহিরকে চুমু খাওয়ার ভঙ্গিতে দেখা যাচ্ছে। সুইজারল্যান্ডের মনোরম পরিবেশে দুজনকে পাওয়া গেল রোম্যান্টিক মেজাজে।
এছাড়াও সোনাক্ষি একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন যেখানে জাহিরকে গাড়ি চালাতে দেখা যাচ্ছে এবং সোনাক্ষি পাশে তাঁর হাত ধরে বসে আছেন।
জাহিরকে বিয়ে করা নিয়ে গত ১ বছরে কম ট্রোল হননি সোনাক্ষি। এমনকী, রটে যায় যে, ভিন ধর্মে বিয়ে করা নিয়ে নাকি অমত ছিল পরিবারের। এমনকী, সোনাক্ষির দুই দাদা লব ও কুশ তা মানতে পারেননি। এমনকী, কিছু কট্টরপন্থীও ক্রমাগত সমালোচনা চালিয়ে যায়। যদিও অভিনেত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই যে, বিয়ের পর তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করার প্রশ্নই আসেন না। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুসারে হয়েছে দুজনের বিয়ে। এবং দুজনে একে-অপরের ধর্মকে সম্মান করেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভাগ নেন।
যদিও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সলমনের দাবাং-নায়িকা জানিয়েছেন যে, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা রীতিমতো তাঁকে তুলোয় মুড়ে রাখে। সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যায়, যাতে নতুন পরিবার, নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারেন সোনাক্ষি। শ্বশুরবাড়ির লোকের কাছে তিনি বৌমা নন, বাড়ির মেয়ে।
সোনাক্ষিকে এই প্রসঙ্গে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘একজন মেয়ে হিসেবে, আমি নিজের বাড়িতে অবশ্যই সকলের ভীষণ আদরের ছিলাম। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে সবাই আমাকে মেয়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। আমি সত্যি এমন শ্বশুরবাড়ি পেয়ে ধন্য। ওদের মধ্যে একটা দায়িত্ব রয়েছে যে, অন্যের মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছে। তাই তারা প্রতিবার অতিরিক্ত এমন কিছু করে এবং আমাকে এমন অনুভূতি দেয় যেন আমি সবসময় এখানেই বাস করি এবং এই বাড়িতে জন্মেছি এবং আমি এই বাড়ির মেয়ে।’