খুব ছোট বয়সেই ছোট পর্দায় কাজ করেন যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মার বড় মেয়ে সারা সেনগুপ্ত। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের উমা সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা মেলে সারা-র। তারপর লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে, আপাতত সারা করছেন মডেলিং। শুধু তাই নয়, অল্প সময়েই নাম কামিয়েছেন এই বাঙালি কন্যে। বড় কিছু আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের মুখও তিনি।
এবার উষ্ণতা ছড়ালেন সারা সেনগুপ্ত। কোনো এক কাজেই আপাতত যিশু-কন্য বিদেশে। সেখানে ক্রুজের কিছু ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন। আর যার মধ্যে নিজের দুটি ছবিও দিয়েছেন। পরে আছেন সাদা রঙের লং স্কার্ট। আর উর্ধাঙ্গে ব্রালেট। একটি ছবিতে দু গালে হাত দিয়ে পোজ দিয়েছেন।
অপরটিতে পড়ন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে সারা। এই ভিডিয়োটি নেওয়া হয়েছে পিছন থেকে। আর মেয়ের এই স্টোরিতেই মন্তব্য করেছেন মাম্মা নীলাঞ্জনা। দিয়েছেন ফায়ার ইমোজি।

সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই বয়সে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা সারার। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি। গত বছরে জীবনে বেশ ঝড় বয়ে গিয়েছে সারা-র পরিবারে। টলিপাড়ার ভিতরের খবর, আলাদা হয়েছেন সারা-র মা-বাবা যিশু ও নীলাঞ্জনা। এমনকী, যিশুর উপর ‘পরকীয়া’র অভিযোগও ওঠে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আর বাবাকে ফলো করেন না সারা। এমনকী, যিশুও সম্প্রতি আনফলো করে দিয়েছেন মেয়েকে। যার থেকে স্পষ্ট, বাবার সঙ্গে দূরত্ব এসেছে সারার। যদিও বাবার সঙ্গেই কিন্তু উমা-তে কাজ করেছিলেন তিনি। এমনকী, সেখানেও পর্দাতে তাঁরা দুজনে ছিলেন মেয়ে-বাবার চরিত্রে।
মাঝে সারা-র বলিউডের সিনেমায় কাজ করার খবর রটেছিল। যা উড়িয়ে সেইসময় যিশু-কন্যা লিখেছিলেন, ‘আমি সম্প্রতি কিছু খবর দেখলাম, যেখানে বলা হচ্ছে যে, আমি নাকি বলিউডে পা রাখতে চলেছি। যদিও ভবিষ্যতে আমার অভিনয়ের পরিকল্পনা রয়েছে, তবে বর্তমানে আমি চাই মডেলিংটাই মন দিয়ে করতে। আশা করি, কোনোদিন এটাই সত্যি হবে।’ প্রসঙ্গত, নীলাঞ্জনারও কেরিয়ারের শুরুটা হয়েছিল মডেলিং দিয়েই। এরপর বলিউডেও বেশ নাম করেছিলেন। তবে বিয়ের পর যিশুর সঙ্গে সব ছেড়ে চলে আসেন কলকাতায়। আপাতত প্রযোজনায় মন সারা-র মায়ের। নিনি চিনিস মাম্মাস প্রোডাকশন থেকে দু দুটি জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক চালাচ্ছেন।