‘অ্যান্ড মাইলস টু গো’ পাঠকদের ২০১১ সালের কলকাতায় নিয়ে যায়। একটি পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো শহরে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এই গল্পটি গড়ে উঠেছে আনন্দের শহরের উজ্জ্বল কিন্তু অস্থির পটভূমিতে। এখানে বিভিন্ন বয়স এবং সামাজিক-পারিবারিক পটভূমির চরিত্রগুলির জীবনের বুনন তুলে ধরা হয়েছে, যারা তাদের আকাঙ্ক্ষার পেছনে ছুটছে এবং সংগ্রাম করছে। গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র পটকেল বস্তির একজন সাহসী ছেলে। ভাগ্যকে অস্বীকার করে নিজের ভবিষ্যৎ নতুন করে লেখার চেষ্টা করে চলেছে সে। আবার আরেক চরিত্র হীরক এক বিলিয়নিয়ার শিল্পপতি। অতীতের নানা ঘটনা তাকে তাড়া করে। প্রতিশোধের আগুনে সে দগ্ধ।
আরও পড়ুন- কোলেস্টেরল, সুগার পালাবে শরীর থেকে, সকাল সকাল এই বীজ খেলে বাড়বে আয়ু
এসবের মাঝে অনুসূয়া এক দ্বিধাগ্রস্ত গৃহবধূ। এমন কিছু সিদ্ধান্তের সামনে সে বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছে যা তার জীবন চিরতরে পরিবর্তন করবে। গল্পের মাঝে অবতারণা হয়েছে আরেক চরিত্র আব্রাহামের। তিনি যাজক। তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য কঠোর সংগ্রাম করছেন। গল্পের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে থাকা শ্যামলী এক নিরূপায় মা, দৃঢ় সংকল্পে বলে, “আমি প্রয়োজনে তাকে মেরে ফেলব, কিন্তু আমার ছেলেকে ওর কাছ থেকে নিতে দেব না।" পাশাপাশি যে চরিত্রের কথা বলতেই হয় সে সূর্য, পরিস্থিতির শিকার, কঠিন দুনিয়ায় টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে। এরই মাঝে তাদের দিদি, তার সাদা শাড়ি পরিহিত অবস্থায়, বিস্তীর্ণ দিগন্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। ভাবছেন, “অনেক কাজ হয়েছে—তবুও অনেক কিছু করা এখনো বাকি।"
আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে কতটা ‘সাবালক’ করল প্রযুক্তি ও AI? ৫ বছর ফিরে দেখল HT বাংলা
গোটা উপন্য়াসে তাদের জীবন একত্রিত হয় একটি আকর্ষণীয় কাহিনিতে, যা টাকা, ক্ষমতা, ভালোবাসা এবং প্রতিশোধের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আবর্তিত তারা কি তাদের দুঃখ থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পাবে? নাকি তাদের সংগ্রাম তাদের গ্রাস করে ফেলবে? মানবীয় স্থিতিস্থাপকতা এবং আকাঙ্ক্ষার এই অনন্য গল্পে সেই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে। উপন্যাসের ছত্রে ছত্রে টান টান উত্তেজনা যা পাঠকদের ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট।