মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ রাখছে বলে সোমবার জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেনান্ট জেনারেল( অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমানাঘেঁষা মায়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এই কারণে দেশটির বিপ্লবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি মায়ানমার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়া সীমান্ত এখন পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। সীমান্তে প্রতিটি বিওপিতে বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, কিছু দুষ্কৃতীকারী দালালচক্রের মাধ্যমে সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সম্প্রতি মায়ানমার পরিস্থিতিতে নতুন করে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকেছে। তারা এখনও অনিবন্ধিত হলেও মানবিক সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। খবর কালের কণ্ঠের প্রতিবেদন অনুসারে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, মায়ানমারের ২৭১ কিমি দীর্ঘ স্থল ও নদীর সীমানা পুরোপুরি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ওই দেশ সরকারিভাবে মায়ানমার সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন আমাদের উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এমনকী ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলেও মেনে নেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন গত রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে মুখ্য় উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস রোহিঙ্গা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেনান্ট জেনারেল( অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেন, এই দালালদের রুখতে সকলের সহায়তা দরকার। না হলে তারা সমস্যার কারণ হয়ে উঠবে। যে কোনও পরিস্থিতিতেই অনুপ্রবেশকে মানা হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্ডার পুরোপুরি কোস্ট গার্ডআর বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, বেআইনি মাদক কারবার এই সব এলাকায় একটা বড় সমস্যা। এই সব এলাকা মাদক কারবারের জন্য কুখ্য়াত। এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সকলের সহযোগিতা দরকার। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে টেকনাফে যান। বিজিবির আধিকারিকদের সঙ্গে মিটিং করেন। কিছু সীমান্ত পয়েন্টে যান। সেই সময় বিজিবির ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল মহম্মদ আসফুজ্জামান সিদ্দিকি তাঁর সেই সফরে সঙ্গে ছিলেন।
তবে রোহিঙ্গা সমস্যায় যে জর্জরিত বাংলাদেশ এদিন ফের সেই বিষয়টি সামনে আসতে থাকে।