'টার্বান টর্নেডো' নামে পরিচিত ১১৪ বছর বয়সি অ্যাথলিট ফৌজা সিংকে গাড়ির ধাক্কা মেরে খুন করা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল জলন্ধর পুলিশ। বছর তিরিশের সেই ধৃত কর্তারপুরের দাসুপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও আপাতত এনআরআই। নাম অমৃতপাল সিং ধিলোঁ। আজ তাকে আদালতে হাজির করবে পুলিশ। পুলিশ তার ফরচুনার গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে। জেরায় নিজের অপরাধ কবুল করেছে অমৃতপাল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ফৌজা সিং গ্রাম থেকে একাই জাতীয় সড়কের দিকে যাচ্ছেন। এদিকে, একটি দ্রুতগামী ফরচুনার গাড়ি তাকে সেই সময় ধাক্কা দেয় এবং পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফৌজা সিংকে জলন্ধরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। (আরও পড়ুন: ইয়েমেনে ঠিক কীভাবে পিছিয়েছে ভারতীয় নার্স নিমিশার প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড?)
আরও পড়ুন: চিনা হাতিয়ার ফেল হতেই অপারেশন সিঁদুরে জিততে AI-এর সাহায্য নেয় পাকিস্তান!
এই ঘটনার পরে, আদমপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল এবং পুলিশ আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে সেই ফরচুনার গাড়িটি শনাক্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে হেডলাইটের টুকরোও পাওয়া গেছে। গাড়িটি কাপুরথালার আটৌলি গ্রামের বাসিন্দা ভারিন্দর সিংয়ের নামে রেজিস্ট্রেশন করা ছিল। জলন্ধর পুলিশের দলগুলি কাপুরথালায় ছুটে যায়। ভারিন্দর সিংকে জেরা করে জানা গিয়েছে, কানাডার এক অনাবাসী ভারতীয় অমৃতপাল সিং ধিলোঁ তাঁর গাড়ি কিনেছিলেন। (আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গিদের পৈশাচিক রূপ সামনে এল, জবানবন্দিতে 'স্টার উইটনেস' বললেন…)
আরও পড়ুন: 'আমিষ দুধে' আটকে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা, WTO-তে নালিশ ট্রাম্প প্রশাসনের
আরও পড়ুন: আর কোনও উপায় না দেখে এবার ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি ন্যাটোর, চাপে পড়বে মোদী সরকার?
এরপর মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ অমৃতপালকে গ্রেফতার করে এবং তার গাড়িটি উদ্ধার করে। এনআরআই অমৃতপাল সিং ধিলোঁ তার অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং বলেছিলেন যে তিনি তার ফোন বিক্রি করে ফিরছিলেন। বিয়াস গ্রামের কাছে পৌঁছতেই এক বৃদ্ধকে তার গাড়ির সামনে আসেন। সেই বৃদ্ধের ধাক্কা লাগে গাড়িতে। সে জানত না যে ওই বৃদ্ধই ফৌজা সিং। দুর্ঘটনার পর অমৃতপাল আতঙ্কিত হয়ে মহাসড়কের পরিবর্তে গ্রামের ভিতরের সড়কে ঢুকে যায় এবং নিজের গ্রামে পৌঁছান। জানা গিয়েছে, আট দিন আগে কানাডা থেকে ভারতে ফিরেছিলেন অমৃতপাল। ফৌজা সিংয়ের ছোট ছেলে হরবিন্দর সিং বলেন, 'আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই। অভিযুক্ত বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে আমারর বাবাকে শুধু হত্যাই করেনি, আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।' একই সঙ্গে ফৌজা সিংয়ের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ১১৪ বছর বয়সেও তিনি ফিট ছিলেন। ফৌজা সিংয়ের শেষ ইচ্ছা ছিল জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো তিনি গ্রামে কাটাতে চান।