নয়াদিল্লি থেকে বিহারগামী ১২৫৫৪ বৈশালী এক্সপ্রেসের এস৬ নং কামরায় গতরাত ২টো ১২ মিনিট নাগাদ আগুন লেগে যায়। ঘটনায় ১৯ জন যাত্রী আহত হন। ঘটনাটি ঘটে ইটাওয়ার মৈনপুরী জংশনের কাছে। এদিকে আহত ১৯ জনের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রায় ঘণ্টা খানেকের প্রচেষ্টায় জিআরপি এবং আরপিএফ আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
১০ ঘণ্টার ব্যবধানে একই জেলায় দু'টি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উত্তরপ্রদেশে
দিল্লি থেকে দারভাঙাগামী এক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে গতকাল বিকেল নাগাদ আগুন লেগেছিল। উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ায়। সেই ঘটনার ১০ ঘণ্টা যেতে না যেতেই সেই ইটাওয়াতেই ফের আরও একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের স্লিপার কোচে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি থেকে বিহারগামী ১২৫৫৪ বৈশালী এক্সপ্রেসের এস৬ নং কামরায় গতরাত ২টো ১২ মিনিট নাগাদ আগুন লেগে যায়। ঘটনায় ১৯ জন যাত্রী আহত হন। ঘটনাটি ঘটে ইটাওয়ার মৈনপুরী জংশনের কাছে। এদিকে আহত ১৯ জনের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে প্রায় ঘণ্টা খানেকের প্রচেষ্টায় জিআরপি এবং আরপিএফ আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। (আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ চন্দ্রযানের যন্ত্রাংশের! এবার কী হবে)
এর আগে গতকাল বিকেল-সন্ধ্যা নাগাদ ইটাওয়ারই সরাই ভূপত স্টেশনের কাছাকাছি জায়গায় আগুন লাগে বিহারগামী আরও একটি ট্রেনে। সেই ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে অনেক যাত্রীই জানলা দিয়ে ঝাঁপান। সেই অগ্নিকাণ্ডে আহত হন ৮ যাত্রী। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেনটি সরাই ভূপত স্টেশনের কাছাকাছি এলে ওখানকার স্টেশন মাস্টার ট্রেন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ড্রাইভার ও গার্ডকে খবর দেন। ট্রেন থামানো হয়। যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। এরই মাঝে অবশ্য বেশ কয়েকজন আহত হন। জানা গিয়েছে, প্রথমে একটি কামরায় আগুন লাগে। পরে সেই কামরা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরও দু'টি কামরায়। সেই তিনটি স্লিপার ক্লাস কামরা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে আগুন লাগা তিনটি কামরাকে বাকি ট্রেনের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, একটি কামরার বৈদ্যুতিক সংযোগের শর্ট সার্কিট হওয়ার কারণেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর পাতালকোট এক্সপ্রেসের কামরায় ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। আগ্রা থেকে ঢোলপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। এদিকে গত অগস্টে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই ঘটনায় অন্তত ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিনে বেঙ্গালুরু এবং গোয়ালিয়রে দু'টি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। বেঙ্গালুরুর ঘটনায় উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন এবং বি১ ও বি২ কোচ দু'টিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। তবে দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এর আগে সম্প্রতি আপ কল্যাণী সীমান্ত লোকাল থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঘটনার জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ট্রেন স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে। এদিকে গত জুলাই মাসেই আবার একটি বন্দে ভারত ট্রেনে আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ জুলাই ভোরে মধ্যপ্রদেশের কুরওয়াই কেথোরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে। ভোপাল থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন টার্মিনালে যাচ্ছিল সেই ট্রেনটি। ট্রেনের সি১২ কোচের নীচে আগুন লাগে। তবে সেই ঘটনাতেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এরও আগে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসের একটি এসি কামরায় আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সেই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছেড়ে গিয়েছিল। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়।