'খুব কাছে চলে এসেছিলেন রাহুল গান্ধী। অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।' এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ এল ফাঙ্গনন কোনয়াক। বৃহস্পতিবার সংসদে নাগাল্যান্ডের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আজ আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণভাবে (সংসদ ভবনে) প্রতিবাদ করছিলাম। যে বিষয়ে আমি ইতিমধ্যে আপনার হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। (আজ) মকর দ্বারের সিঁড়ির ঠিক নীচে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। আমার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমি অত্যন্ত ভেঙে পড়েছি। (লোকসভার) বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আমার খুব কাছে চলে এসেছিলেন। আমার অত্যন্ত অস্বস্তি লাগছিল। উনি আমার উপরে চোটপাট করেন। আমার মতে, বিরোধী দলনেতার পক্ষে সেই আচরণ শোভা পায় না। ব্যাপারটা এরকম নয় যে আমি নিজেকে রক্ষা করতে পারতাম না। কিন্তু এটা সত্যি শোভা পায় না।’
‘আমার কথা ছাড়ুন….’, রাহুলের ‘ব্যবহারে’ ব্যথিত বিজেপি সাংসদ
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কেও চিঠি লিখেছেন নাগাল্যান্ডের বিজেপি সাংসদ। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, রাহুল যে কাজ করেছেন, তাতে আত্মমর্যাদা এবং সম্মান ধাক্কা খেয়েছে। তাঁর কথায়, 'ওঁনার (রাহুল) কাজটা অত্যন্ত বাজে ছিল। আমার কথা ছাড়ুন। কোনও মহিলা বা নাগাল্যান্ডের তফসিলি জনজাতি হিসেবে কারও সঙ্গে এরকম করা উচিত নয়। আপনাকে ইতিমধ্যে একটি নোটিশ পাঠিয়েছি।'
ওঁনার চোখে জল এসে গিয়েছিল, জানালেন ধনখড়
সেটার প্রেক্ষিতে ধনখড় জানিয়েছেন, নাগাল্যান্ডের সাংসদের চিঠি পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে নিজের চেম্বারে দেখা হয়েছে ধনখড়ের। তাঁর কথায়, 'আমিও বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। ওঁনার চোখে জল এসে চলে এসেছিল। উনি কখনও ভাবতে পারেননি যে একজন মহিলা সদস্য হিসেবে সংসদের অপর এক সদস্যের কারণে এভাবে এত কষ্ট পেতে হবে।'
তারইমধ্যে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু অভিযোগ করেছেন, এক মহিলা সাংসদকে ধাক্কা মেরেছেন রাহুল। সেইসঙ্গে এত গায়ের জোরেই দু'জন সদস্যকে ধাক্কা মারেন, যে তাঁদের রক্ত ঝরেছে। আর তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।
রাহুল আপাতত কোনও মন্তব্য করেননি
যদিও সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপাতত কোনও মন্তব্য করেননি রাহুল। সূত্রের খবর, কিছুক্ষণের মধ্যেই দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকে এই অভিযোগ নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেন কিনা, সেদিকে নজর আছে রাজনৈতিক মহলের।