বেতন-লিঙ্গ বৈষম্য, যৌন হয়রানি… প্রায়ই কর্মক্ষেত্রে মহিলারা এমন অসংখ্য সমস্যার সম্মুখীন হন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ঘটনা মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে সমালোচনার ঝড় তুলে তুলে দিয়েছে। ২৮ বছর বয়সি এক ভারতীয় তরুণী কাজের মধ্যে ২০ মিনিট শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য রাতে টিম লিডারের ফোন করে ক্ষোভ জানানোর অভিযোগ তুলেছেন। তেমনই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রেডিটে এই সংক্রান্ত দাবি করেন তিনি। (আরও পড়ুন: 'বিহারিদের সিভিক সেন্স নেই' বলে সাসপেন্ড শিক্ষক,বলেছিলেন- 'কলকাতা পছন্দ করে না…')
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ওই তরুণী জানান, তিনি অফিসে থেকে চার ঘন্টা কাজ করেন এবং বাকি পাঁচ ঘন্টা বাড়িতে থেকে করেন। কারণ অফিসে মহিলাদের রাত সাড়ে ৮ টার পরে থাকার অনুমতি নেই। ওই তরুণীর অভিযোগ, 'আমি সম্প্রতি অফিস থেকে একটি মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার ইমেল পেয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে যে আমার কাজ করার যথেষ্ট চেষ্টা নেই, এবং আমার ফলাফলও সন্তোষজনক নয়। ফলস্বরূপ, আমার প্রবেশন বাড়ানো হচ্ছে, এই ডেডলাইনের মধ্যে আমাকে লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।' এরপরেই ওই তরুণী ফের সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী ফের কাজ শুরু করেন। কিন্তু তিনি বলেন, 'যখন আমি লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮০% সম্পূর্ণ করে ফেলেছি, ঠিক তখনই আমি বাড়ি থেকে কাজ করার সময় একটি ফোন পাই। সেই সময় আমি শৌচালয়ে ছিলাম। এরপর আমার কাছে একটি ম্যাসেজ আসে। যখন আমি ম্যাসেজটি দেখি, তখন সঙ্গে ম্যানেজারের একটি ইমেলও দেখতে পাই। যেখানে বলা হয়েছে যে আমি আমার টিএল-এর কৌশল অনুসরণ করিনি এবং ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে তার ম্যাসেজ উপেক্ষা করেছি।' (আরও পড়ুন: পানাগড়ে সুতন্দ্রার দুর্ঘটনার পর কেন পালিয়ে যান? মুখ খুললেন সাদা গাড়ির চালক)
আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত কি সত্যি হল আশঙ্কা? EPFO-র সুদের হার চূড়ান্ত করল বোর্ড
মেইলের জবাবে ওই তরুণী বলেছেন, তিনি শৌচালয়ে ছিলেন। কিন্তু যথাযথ কারণ উল্লেখ করার পরেও, তিনি সমালোচনার সম্মুখীন হন।এরপরেই তরুণী বলেন, 'আমি ইতিমধ্যেই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে আমার সেরাটা দেওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম। তবে, আমার উপরে এমন কিছু লোক আছে যারা নোংরা খেলা খেলছে এবং মহিলা কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে। এছাড়াও অত্যধিক যৌন নিপীড়ন, অশ্লীলতা, কখনও কখনও অন্যান্য মহিলা কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং অপেশাদারিত্বও রয়েছে। (আরও পড়ুন: দ্বিধায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা, হাওড়া-সল্টলেক পরিষেবা চালু হতে পারে…)
আরও পড়ুন: ইউনুসের ব্যর্থতা উসকে বিতর্কের আগুন জ্বালেন সেনা প্রধান, তাতে ঘি ঢাললেন উপদেষ্টা
অন্যদিকে, পোস্টটি ভাইরাল হতেই বহু নেটিজেন প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন। কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে আবার তাদের কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে একই রকম গল্পও পোস্ট করেন।একজন পরামর্শ দিয়েছেন,' প্রমাণ-সহ সবকিছু রেকর্ড করে রাখুন। পোশ কমিটির কাছে অভিযোগ করুন, আপনার যে প্রতিষ্ঠানেরই হোক না কেন। যদি তারা সন্তোষজনক উত্তর না দেয়, তাহলে আপনি বিষয়টি বিচার বিভাগের কাছে নিয়ে যেতে পারেন।' একজন পোস্ট করেছেন, 'এইচআররা কোনও কাজ করেন না। আপনি তাদের নাম বলতে পারেন এবং লজ্জা দিতে পারেন, কিন্তু তাতে কোনও পরিবর্তন হবে না। এখানে আপনি যা করতে পারেন তা হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে আসা। আমার মনে হয় না এর পরেও কিছু পরিবর্তন হবে। আমিও চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমার প্রাক্তন সহকর্মীরা আমাকে বলেছিলেন যে কিছুই বদল হয়নি। '