এ বার বিজেপি পরিচালিত ছত্তিশগড়ে সরকারের বিরুদ্ধে বাঙালি পরিযায়ী আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ওই শ্রমিকদের মিথ্যা মামলায় জেলবন্দি করে গিয়েছে! এমনই অভিযোগ নদিয়ার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। তাঁর দাবি, ছত্তিশগড় সরকার ও পুলিশের তরফে এই ঘটনা নিছক গ্রেফতার নয়, এ একপ্রকার সরকারি অপহরণ।
আরও পড়ুন: ওড়িশায় বাংলার শ্রমিক আটক, কেন আটকে রাখা হয়েছে? উত্তর তলব হাইকোর্টের
সোমবার এক ভিডিয়োবার্তায় মহুয়া অভিযোগ করেন, তাঁর লোকসভা এলাকার ন’জন রাজমিস্ত্রি সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার আলবেরাপাড়া অঞ্চলে একটি বেসরকারি স্কুলের নির্মাণকাজে নিযুক্ত ছিলেন। রবিবার আচমকা পুলিশ গিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে। পরিবারের সদস্যরা জানতেও পারেননি যে তাঁদের আত্মীয় কোথায়, কী অবস্থায় রয়েছেন। সাংসদ মহুয়ার দাবি, ওই শ্রমিকদের প্রত্যেকের কাছেই বৈধ পরিচয়পত্র ছিল। তবু ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২৮বি ধারায় মামলা রুজু করে তাঁদের জগদ্দলপুর সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী, পরিচয় গোপন করে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। অথচ, রাজ্য সরকার বা পরিবার কারও সঙ্গেই কোনওরকম যোগাযোগ করেনি ছত্তিশগড়ের পুলিশ।
মহুয়া বলেন, ‘আমি নিজের উদ্যোগে ছত্তীসগঢ়ের এক পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি জানান, নাকি ওই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আদিবাসী মহিলাদের ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে এবং তদন্ত চলছে। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলছি, এটা পরিকল্পিতভাবে ভুয়ো অভিযোগ সাজিয়ে বাংলার নিরীহ শ্রমিকদের হেনস্থা করার চেষ্টা।’ তাঁর আরও দাবি, এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে শুধুমাত্র বাংলাভাষী বলেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে আটক করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই এর সমালোচনা করে বলেছেন, এই রাজ্যে দেড় কোটিরও বেশি ভিনরাজ্যের মানুষ কাজ করেন, বসবাস করেন। কিন্তু তাঁদের কখনও হেনস্থা করা হয় না। তাহলে বাংলার ২২ লক্ষ মানুষ কেন বারবার ভিনরাজ্যে অপমানিত হচ্ছেন?