বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ‘কুকথা’ কাণ্ডে জেলার পুলিশ সুপারকে তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এবার সেই তলবকে চ্যালেঞ্জ করলেন পুলিশ সুপার আমনদীপ। তদন্তে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে জাতীয় মহিলা কমিশনের তলবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। পুলিশ সুপারের তরফে দাবি করা হয়েছে, একটি মামলার তদন্ত চলাকালীন কমিশনের তরফে যে ভাবে তাঁকে দিল্লিতে তলব করে কেস ডায়েরি নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে, তা কার্যত তদন্ত প্রক্রিয়ায় নাক গলানোর মতো।
আরও পড়ুন: তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন অনুব্রত, তাই গ্রেফতারির প্রয়োজন নেই: বীরভূম পুলিশ
সোমবার এ বিষয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী। আগামী বুধবার সেই আবেদনের শুনানি হতে পারে। ঘটনার সূত্রপাত এক ভাইরাল অডিয়োকে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) কেন্দ্র করে। গত ২৯ মে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি অডিয়ো ক্লিপ। তাতে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে গালিগালাজ করতে শোনা যায়। অভিযোগ, শুধু আইসি নয়, তাঁর স্ত্রী ও মায়ের সম্পর্কেও কুরুচিকর মন্তব্য করেন অনুব্রত। সেই ঘটনায় লিটন হালদার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তদন্তে নামে জেলা পুলিশ। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে জাতীয় মহিলা কমিশন। জেলা পুলিশের কাছে দু'বার ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ চায় কমিশন। কিন্তু, কমিশন তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে না নিয়ে তদন্ত চালানোয় প্রশ্ন তোলে কমিশন। যদিও জেলা পুলিশের বক্তব্য, অনুব্রত তদন্তে সহযোগিতা করছেন, তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।