স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিশেষত ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত উপজাতি-অধ্যুষিত অঞ্চলের জন্য এই পদক্ষেপ। এই এলাকাগুলিতে তৈরি হতে চলেছে বহু নতুন স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্র। সবমিলিয়ে ৩০টি স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের।
আরও পড়ুন: সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেই মৃত্যু শিশুর, উত্তেজনা লাটাগুড়িতে
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীন এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১২.৭ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০.৮৭ কোটি টাকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অনুমোদিত বাজেট থেকে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে বিশেষভাবে পিছিয়ে পড়া উপজাতি গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত তহবিলে। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২০টি, ঝাড়গ্রামে ৫টি ও পুরুলিয়াতেও ৫টি উপ-কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, কেশিয়াড়ি, খড়গপুর-২, কেশপুর, পিংলা, সবং গোপীবল্লভপুর-সহ বেশ কিছু এলাকা। পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি ও ঝাড়গ্রামের বানীপুর, নয়াগ্রাম এলাকাও এই তালিকায় রয়েছে।
প্রতিটি কেন্দ্র নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে গড়ে ৩২ থেকে ৪৩ লক্ষ টাকার মধ্যে। নির্মাণ ও বাস্তবায়নের দেখভাল করবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। জেলা স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ পরিষেবার মাধ্যমে বরাদ্দ অর্থ বিতরণ হবে তিন জেলায়। নির্দেশ অনুযায়ী, আদেশ জারির তারিখ থেকে চার মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্পে ব্যয়বৃদ্ধির কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে কাজের গুণমান ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে রাজ্য স্তরের দল নিয়মিত পরিদর্শন করবে নির্মাণস্থল। শ্রমিযের ক্ষেত্রে সুপারিশ করা হয়েছে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে এমজিএনআরইজিএ জব কার্ডধারীদের ব্যবহারের জন্য। এতে একদিকে যেমন কাজের সুযোগ তৈরি হবে, অন্যদিকে স্থানীয় অংশগ্রহণও বাড়বে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া আদিবাসী জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে বলে মনে করছে সরকার।