ভাঙড়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রেজ্জাক খান খুনে দলেরই এক নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মোফাজ্জল মোল্লা নামে ওই তৃণমূল নেতাই খুনের মূল চক্রী বলে দাবি পুলিশের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এলাকা দখলের লড়াইয়ের জেরেই ভাড়াটে খুনি দিয়ে রেজ্জাককে খুন করিয়েছেন মোফাজ্জল।
গত বৃহস্পতিবার রাতে খুন হন ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়ার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রেজ্জাক খান। রাতে পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে প্রথমে গুলি করে ও পরে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। রাত ১০টা নাগাদ রাস্তার পাশে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পরদিন ময়নাতদন্তে তাঁর দেহে ৫টি গুলির ক্ষত পাওয়া যায়।
এই খুনের পিছনে ISFএর হাত রয়েছে বলে সরব হয় তৃণমূল। তাদের দাবি ছিল, ভাঙড়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ রেজ্জাকের রাজনীতিতে খুব দ্রুত উত্থান হচ্ছিল। তার জেরে তাঁকে সরিয়ে দিতে এই কাজ করেছে ISF. কিন্তু ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর রেজ্জাক খুনে তৃণমূল নেতা মোফাজ্জল মোল্লাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেজ্জাক ও মোফাজ্জল ২ জনেই ভোটে লড়ে হারেন। কিন্তু তার পরও রেজ্জাকের উত্থান মেনে নিতে পারেননি মোফাজ্জল। এছাড়া টাকা পয়সার লেনদেন নিয়েও ২ জনের মধ্যে বিবাদ ছিল। তার জেরেই ভাড়াটে খুনি দিয়ে মোফাজ্জল রেজ্জাককে খুন করিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
এই ঘটনায় শনিবার শওকত মোল্লা ঘোষণা করেন, নিহত রেজ্জাকের স্ত্রীকে রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল নেতার হাতে তৃণমূল নেতার খুনে কেন সরকারি চাকরি পাবেন মৃতের স্ত্রী?