শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে ফের একবার খুশির হাওয়া। বাড়ল সাফারি পার্কের সদস্য সংখ্যা। সিংহ দম্পতি সুরজ ও তনয়ার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছে তিনটি শাবক। পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, শাবকরা বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে নতুন চমক বেঙ্গল সাফারিতে, আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে এল ১৮টি নতুন প্রাণী
প্রায় দুই বছর আগে ত্রিপুরা থেকে আনা হয়েছিল সুরজ ও তনয়াকে। আগমনের কিছুদিনের মধ্যেই তারা প্রথমবার সন্তানের জন্ম দেয়, যার মধ্যে একটি শাবক মারা যায়, আরেকটি এখনও বেড়ে উঠছে সাফারির মধ্যেই। তারপর পাঁচ মাস আগে ফের সন্তানের জন্ম দিল এই সিংহ দম্পতি। এবার একসঙ্গে এসেছে তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। এত শাবকের জন্ম পার্কের প্রাণী সংরক্ষণ এবং প্রজনন নীতির ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে একটি বড় সাফল্য। এদিকে, বেঙ্গল সাফারির প্রাণীসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পর্যটকদের ভিড়ও বাড়ছে দিনদিন। প্রতিদিনকার সাফারি রাইডে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে আনা হয়েছে আরও ১৮টি নতুন প্রাণী, যার মধ্যে রয়েছে ঘড়িয়াল ও কালো ভালুকও। তবে, নতুন প্রাণীদের আপাতত রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বরের আগে এগুলিকে দর্শকদের সামনে আনার সম্ভাবনা নেই। বেঙ্গল সাফারিতে বাড়তে থাকা পর্যটকের চাপ সামলাতে ও তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পার্ক চত্বরে চালু হচ্ছে একটি নতুন পুলিশ ফাঁড়ি। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর জানিয়েছেন, একজন অফিসার, দু’জন এএসআই এবং পাঁচজন কনস্টেবলকে নিয়ে গঠিত এই ইউনিট চলতি সপ্তাহেই কাজ শুরু করবে।
এদিন সাফারি পার্কে বনমহোৎসব উপলক্ষে হাজির ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তিনি জানান, তাঁর প্রস্তাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মেয়র আরও বলেন, এখন পার্কে একটি গন্ডার ও একটি হাতি রয়েছে আর একটি করে এনে তাদের একাকিত্ব দূর করা দরকার। পাশাপাশি জিরাফ ও ক্যাঙারু আনার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। তাঁর মতে, এইসব উদ্যোগের মাধ্যমে পার্কটি একদিন পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানার রূপ পাবে।তিনটি নতুন সিংহ শাবকের জন্ম পার্ক কর্তৃপক্ষ ও পশুপ্রেমীদের কাছে নিঃসন্দেহে এক আনন্দঘন খবর। তবে কবে দর্শনার্থীরা তাদের সরাসরি দেখতে পাবেন, সে বিষয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি।