এক সময় দেব-শুভশ্রী জুটি টলিপাড়ার অন্যতম সেরা জুটি ছিল। কেবল পর্দায় নয়, বাস্তবেও তাঁরা ছিলেন প্রেমের সম্পর্কে। কিন্তু আসে বিচ্ছেদ, তারপরও 'ধূমকেতু'তে একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হন তাঁরা। কিন্তু মাঝে নানা জটিলতার কারণে সেই ছবি আর বড় পর্দায় মুক্তি পায় না। মাঝে কেটে যায় ৯টা বছর। এই ৯ বছরে আর দেব-শুভশ্রীকে একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়নি। তারপর ২০২৫ জানা যায় 'ধূমকেতু' আসছে। চলতি বছরের ১৪ অগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। তবে ছবি মুক্তির আগে বার বার উঠে আসছে দেব-শুভশ্রী জুটির প্রসঙ্গ। এই ৯ বছরে তাঁদের মধ্যে থাকা অব্যক্ত কথা বার বার জেনে নিতে চাইছেন দর্শকরা। আর সেই অব্যক্ত কথা প্রকাশ করতে করতেই দেব বলে বসেন, শুভশ্রীর নামের পাশ থেকে তাঁর নাম সরানো যাবে না।
আরও পড়ুন: ছোট পর্দায় ফিরছেন শোলাঙ্কি রায়! জানেন কোন চ্যানেলের মেগায় দেখা যাবে নায়িকাকে?
এই প্রসঙ্গে ঠিক কী বলেন দেব?
ট্রাইব টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে নায়ক বলেন, ‘আমি ওরকম জায়গায় যেতামই না, যেখানে জানতাম শুভশ্রী থাকবে, বা শুভশ্রীর সঙ্গে দেখা হবে। যদি এটা আমার শুভশ্রীর সঙ্গে শেষ ছবি হয়, তবে আমি চাই আমাদেরকে দর্শকরা যেভাবে দেখে এসেছেন বা ভালোবাসা দিয়ে এসেছেন, তার থেকে বেশি যেন ভালোবাসা দেন। এটা সত্যি যে, এই জন্মে না শুভশ্রী তাঁর নাম থেকে দেবকে সরাতে পারবে, না আমি আমার নাম থেকে শুভশ্রী সরাতে পারব, অনস্ক্রিন জুটি হিসেবে।’
আরও পড়ুন: শুভশ্রীর সঙ্গে ফের দেবের ছবি আসছে! 'আমি ওই পুরো সময়টা…', যা বললেন রুক্মিণী
তিনি আরও বলেন, ‘একটা প্রজন্ম একটা সময় আমাদের সঙ্গে ছিল। আজ তাঁরাও বড় হয়েছে, কেউ হয়তো বিদেশে চাকরি করছে। আমি লন্ডনে শ্যুট করছিলাম। ওখানে অনেক বাঙালি আমাকে বলেছেন, ‘ধূমকেতু কিন্তু লন্ডনে দেখাতে হবে। কীভাবে দেখব?’ আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম কোথায় তাঁদের বাড়ি। কেউ বলেছেন ঢাকা, কেউ বলেছেন মেদিনীপুর। তাঁরা আমাকে বললেন আমরা দেব-শুভশ্রীর ফ্যান। আমরা সিনেমা দেখতাম। তারপর ‘পরান যায় জ্বলিয়া রে…’ গেয়েও শোনান। আমরা আসলে একটা আলাদা যুগ পেরিয়ে এসেছি। ওই যুগটাকে আমরা দু'জন মিলে বিনোদন দিয়ে এসেছি, নাচিয়ে এসেছি, আজও নাচাই। আজও ঢাকের তালে ছাড়া কোন পুজো মন্ডপ জমে না। ঢাকের তালের মাধ্যমে আমরা বেঁচে আছি। আজ থেকে ৫০ বছর পরও থেকে যাবে এই গান। ‘চোখের জলে’ এখনও প্রচুর মানুষ শোনে। এই গানটা বেঁচে থাকলে দেব-শুভশ্রী এমনি বেঁচে থাকবে। দেব শুভশ্রী শুধু ব্যক্তিগত জীবনের জন্য বিখ্যাত হয়নি, আমরা আমাদের কাজের জন্য খ্যাতি পেয়েছিলাম। আমরা এমন এমন কাজ দিয়েছি যা ইতিহাস হয়ে রয়ে গিয়েছে।'