আর মাসখানেকের পরই বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। পুজো মানেই মহালয়ার ভোর। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদার্ত কন্ঠে ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ না শোনা হলে বাঙালির শারদীয়া শুরুই হয় না। তবে বর্তমান সময় কিছুটা বদলেছে। বর্তমান যুগের নব তম সংযোজন হল টেলিভিশনের ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মহালয়ার ভোরে 'মহিষাসুরমর্দ্দিনী' দেখানো হয়। সেখানেও থাকে নানা চমক। দেবী দুর্গার মহিষাসুরমর্দ্দিনী রূপ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি রূপের গল্প তুলে ধরা হয়। আর এবারেও তার ব্যতিক্রম নয়, স্টার জলসার মহালয়ার দ্বিতীয় প্রোমো থেকে তেমনটাই আভাস মিলেছে।
স্টার জলসার ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’র দ্বিতীয় প্রোমোয় কী দেখা গিয়েছে?
মঙ্গলবার স্টার জলসার পক্ষ থেকে ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’র দ্বিতীয় প্রোমো প্রকাশ্যে আনা হয়। এবার তাঁদের এই অনুষ্ঠানে নাম 'মাতৃরূপেণ সংস্থিতা'। বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল যে শেষ কয়েক বছরের মতো এবারও দেবী দুর্গার ভূমিকায় দেখা মিলবে 'টলি কুইন' কোয়েল মল্লিকের। আর প্রোমোতেও তেমনটাই দেখা যায়। তাছাড়াও শোনা গিয়েছিল ভগবান শিবের ভূমিকায় থাকবেন ‘পরশুরাম’ ধারাবাহিকের নায়ক ইন্দ্রজিৎ বসু। তাঁরও দেখা মিলেছে প্রোমোয়। এছাড়াও দেবীর অন্যান্য রূপে নজর কেড়েছেন ‘গীতা এলএলবি’ খ্যাত হিয়া মুখোপাধ্যায় এবং 'পরশুরাম'-এর নায়িকা তৃণা সাহা।
প্রোমোর শুরুতেই দেখা গিয়েছে একটা রুক্ষ-শুষ্ক ভূমির উপর নূপুর পরা আলতা রাঙা দেবীর চরণ। দেবীর চরণ স্পর্শে সেই শুকনো মাটি হয়ে ওঠে সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা। তারপর দেখা যায় গজরাজ অর্থাৎ হাতির পা। আবহ থেকে একটি কন্ঠে শোনা যায়, ‘মা আসছেন গজে, নিয়ে আসছেন শান্তির আশীর্বাদ।’ তারপরই দেখা যায় ফুলে ভরা এক মাঠ দিয়ে দেবী ত্রিশূল হাতে গজরাজের দিকে হেঁটে আসছেন। এরপরই দেবী রূপে দেখা মেলে কোয়েলের। পরনে হলুদ বেনাসরি, মাথায় পদ্ম, গা ভর্তি ভারী গয়না, হাতে শাঁখা-পলা, বালা, কপাল ভর্তি সিঁদুর, মাথায় মুকুট, মুখ জুড়ে এক স্নিগ্ধ, শীতল ছায়া। আশীর্বাদের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে তিনি।
তারপরই দেবীর বাহন সিংহকে দেখা যায় হুঙ্কার ছাড়তে। গাছের ডালে উড়ে এসে বসে দেবী লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা। ফের আবহ থেকে শোনা যায়, ‘শষ্য শ্যামলা হয়ে উঠবে পৃথিবী।’ আর পর্দায় তখন দেবী ত্রিশূল হাতে হাতির পিঠে। সোনালি ধানে ভরা মাঠ দিয়ে মৃদুমন্দ গতিতে এগিয়ে চলেছে গজরাজ, আর তাঁদের দূর থেকে দেখছে কার্তিকের বাহন ময়ূর। গজরাজে উপবিষ্ট দেবীর পিছে পিছে আসছে বনের সব পশুরা। এরপর দেবীর আর এক রূপে ধরা দেন হিয়া। শুভ্রবসন, গলায় শ্বেত পদ্মের মালা, হাতেও শ্বেত পদ্ম। মুখ জুড়ে ভরাভয় ভাব। তারপর পর্দায় দেবী ‘অন্নপূর্ণা’ রূপে নজর কাড়েন তৃণা। আর সেখানেই শিব রূপে ইন্দ্রজিতের দেখা মেলে। আবহে তখন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে সেই অতি পরিচিত ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’। এরপর দেখা যায় 'মাতৃরূপেণ সংস্থিতা' আসছে।