সিঙাড়া, জিলিপির মতো খাবারগুলিতে কোনও ওয়ার্নিং লেবেল বা সতর্কতামূলক বার্তা দেওয়ার কথা বলা হয়নি। একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে ভুল খবর প্রকাশিত হয়েছে বলে জানাল কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, খাবারগুলি যেখানে বিক্রি হয়, সেখানে একটি করে ডিসপ্লে বোর্ড লাগানোর কথা বলা হয়েছে। ওই ডিসপ্লে বোর্ডে এই ধরনের খাবারের বিপজ্জনক দিক নিয়ে নানা পরামর্শ থাকবে। এমনই বোর্ড লাগানোর বার্তাকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে জানাল কেন্দ্র।
ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি নির্দেশিক জারি করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য। নির্দেশিকায় সিগারেটের মতোই বিপজ্জনক বলা হয় সিঙাড়া, জিলিপি, কচুুরিকে। বিপজ্জনক কারণ এই খাবারগুলিতে ফ্যাটের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। অতিরিক্ত তেল ও কার্বোহাইড্রেট বা ক্যালোরিতে পূর্ণ এইসব খাবার। তাই এই খাবারগুলি নিয়ে সতর্কমূলক বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ইতিমধ্যে নাগপুরের এইমসে এমন একটি ডিসপ্লে বোর্ডও লাগানো হয়েছে বলে খবর সংবাদমাধ্যম সূত্রের।
আরও পড়ুন - সাপে কামড়ালে ভুলেও দেবেন না বাঁধন, তার বদলে কী করা উচিত? জেনে নিন
কেন বিপজ্জনক এই খাবারগুলি?
কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ধরনের খাবারে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট ওবেসিটির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ বর্তমানে ওবেসিটির সমস্যায় ভুক্তভোগী। ওবেসিটি শরীরের আরও বেশ কিছু রোগের জন্য দায়ী। দেখা গিয়েছে স্থূূলত্ব বা ওবেসিটি থেকে হার্টের রোগ, কিডনির রোগ, হাই প্রেশার, সুগার, লিভারের সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে। তাই এই সমস্যার মোকাবিলা করতে বোর্ড টাঙিয়ে মানুষ সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন - নুনের সোডিয়াম থেকে বাড়ছে নানা রোগ, স্বাস্থ্যকর নুন খাওয়াতে নয়া উদ্যোগ নিল ICMR
ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে কী বলল কেন্দ্র?
কেন্দ্র জানিয়েছে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন করেছে, সিগারেটের প্যাকেটে থাকা সতর্কবার্তার মতোই খাবারের গায়ে কাগজ দিয়ে এমন বার্তা সাঁটতে বলা হয়েছে। কিন্তু আদতে এটি সম্পূর্ণ ভুল। কেন্দ্রের কথায়, এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং বলা হয়েছে কর্মক্ষেত্রে যেখানে এগুলি বিক্রি হয়, সেখানে একটি বোর্ড রাখতে হবে। বোর্ডে এই ধরনের খাবারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে লেখা থাকতে হবে যাতে একজন ব্যক্তি এই বিষয়ে সচেতন হন।