উত্তরপ্রদেশে থেকে মাফিয়ারাজের শিকড় উপড়ে ফেলতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।প্রতিনিয়ত পুলিশি অভিযান চলছে। এই আবহে মুজফফরনগর জেলায় এসটিএফের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে মুখতার গ্যাংয়ের দুই সদস্যের। মৃতরা হলেন, সঞ্জীব জিভা ও মুখতার গ্যাংয়ের শার্প শুটার শাহরুখ পাঠান। তাদের মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা। দুটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় মিরাট পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ছাপরা থানা এলাকায় বিজোপুরা ক্রসিংয়ের কাছে শাহরুখ পাঠানের গাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। বেগতিক দেখে পুলিশকে অন্তত ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে আততায়ীরা। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে জিভা ও শাহরুখের। পুলিশের দাবি, মৃতদের মধ্যে জিভা ওই অঞ্চলের কুখ্যাত গ্যাংস্টার এবং শাহরুখ মুখতার গ্যাংয়ের শার্প শুটার হিসেবে কাজ করত। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি পিস্তল, ৬০টি কার্তুজ ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এনকাউন্টারে নিহত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ১২টিরও বেশি মামলা রয়েছে। অতীতে ডাকাতি ও পুলিশ হেফাজতে খুনেরও অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। এই দুই অপরাধীর মৃত্যু বড় সাফল্য হিসেবে মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-মঙ্গলে শুরু ফেরার কাউন্টডাউন! মহাকাশে ২২.৫ ঘণ্টা সফরের পর ঘরে ফিরছেন শুভাংশু
২০১৫ সালে মুজফফরনগর রেলওয়ে স্টেশনে পুলিশ হেফাজতে আসিফ জাইদা নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে শাহরুখ পাঠান। গ্রেফতার হওয়ার পর, জেলে থাকাকালীন সে সঞ্জীব জিভা এবং মুখতার আনসারির সংস্পর্শে আসে। এরপর সঞ্জীব জিভার হয়ে কাজ শুরু করে। কয়েকদিন জেলে থাকার পর ২০১৬ সালে সে সিভিল লাইন মুজাফফরনগর থেকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় জিভার নির্দেশে, সে ২০১৭ সালে হরিদ্বারে কম্বল ব্যবসায়ী গোল্ডিকে খুন করে।একই বছরে মুজাফফরনগরে আসিফ জাইদা হত্যা মামলার সাক্ষীকে খুন করে। এই হত্যার পর তার মাথার দাম ৫০,০০০ টাকা ঘোষণা করে পুলিশ।এরপরে শাহরুখকে আবার গ্রেফতার করা হয়। গোল্ডি হত্যা মামলায় সঞ্জীব জিভার সঙ্গে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে সে জামিনে ছিল।
আরও পড়ুন-মঙ্গলে শুরু ফেরার কাউন্টডাউন! মহাকাশে ২২.৫ ঘণ্টা সফরের পর ঘরে ফিরছেন শুভাংশু
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ রাজনীতির চির বিতর্কিত মুখ গ্যাংস্টার মুখতার আনসারি। উত্তরপ্রদেশের মউ সদর বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ বারের বিধায়ক ছিল। ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে গাজিপুরের বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই-সহ ৭ জনকে খুনের অভিযোগ ওঠে মুখতারের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় ১০ বছরের কারাবাস হয় তাঁর। পাশাপাশি অস্ত্রের ভুয়ো শংসাপত্র মামলায় মাফিয়া রাজনীতিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেরও সাজা শোনায় আদালত। অন্তত ৬০টি মামলা চলছিল এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে। মামলা চলাকালীনই মার্চ মাসে জেলে মৃত্যু হয় মুখতারের।