পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে হাউসস্টাফ নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, সরকারি নিয়মকে উপেক্ষা করে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেখানে স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেফতার সিধো কানহো বিরসার অধ্যাপক
স্বাস্থ্য দফতরের ২০১৩ সালের নিয়ম অনুযায়ী, হাউসস্টাফ হিসেবে কাকে নেওয়া হবে তা নির্ধারিত হওয়ার কথা এমবিবিএস পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে। কিন্তু পুরুলিয়া মেডিক্যালে সেই নিয়মকে না মেনে গত ১২ জুন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাতে ইন্টারভিউয়ের কথা বলা হয়। এরপর ২৬ জুন ইন্টারভিউ অনুষ্ঠিত হয় এবং ৭ জুলাই প্রকাশ পায় একটি প্যানেল।
এই প্যানেল প্রকাশের পরই বিতর্ক ছড়ায়। চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন অভিযোগ করে, কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের নাম তালিকার শীর্ষে। আর যারা বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাদের রাখা হয়েছে নিচে কিংবা বাদই দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় খারাপ ফল করা ব্যক্তিদের তুলে ধরার পিছনে রাজনৈতিক প্রভাব এবং স্বজন পোষণের কাজ করেছে বলে অভিযোগ।একটি সংগঠনের বক্তব্য, এই ইন্টারভিউ ছিল সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা ছিল নিজেদের ঘনিষ্ঠদের ঢোকানোর পরিকল্পনা।স্বাস্থ্য ভবনে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
এই চাপের মুখে ৯ জুলাই, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে প্রকাশিত তালিকা বাতিল করা হয়েছে। কলেজের প্রিন্সিপাল সব্যসাচী দাস বলেন, ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু অভিযোগ ওঠার পর সেই প্যানেল বাতিল করে শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে নতুন তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে।
তবে শুধু পুরুলিয়া নয়, অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজেও নাকি একইভাবে নিয়মবহির্ভূত হাউসস্টাফ নিয়োগের অভিযোগ উঠছে। চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বা পরিচিতদের জায়গা করে দিতেই ফের পুরোনো পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এটি একপ্রকার দুর্নীতিরই নামান্তর।।চিকিৎসক সমাজের দাবি, নিয়োগে স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি ও নিয়ম মেনে পুরো প্রক্রিয়া পরিচালিত হোক।