ব্রেন টিউমার। তার উপর ভিতর ভিতর রক্তক্ষরণ হচ্ছে টিউমার থেকে। ইন্টার্নাল হেমারেজ জেরে রীতিমতো প্রাণসংশয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ বছর তিপান্নর রোগী শেখ গুলজারকে মরণ-বাঁচন পরিস্থিতি থেকে ফিরিয়ে আনল কলকাতার হাসপাতাল। অভিজ্ঞ চিকিৎসক অমিতাভ চন্দের তত্ত্বাবধানে সিএমআরআই হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার হয় ওই ব্যক্তির। অস্ত্রোপচারের পাঁচদিনের মাথায় সুস্থভাবে হেঁটে বাড়ি ফিরলেন দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল শেখ গুলজার।
আরও পড়ুন - ওয়ার্নিং লেবেল লাগাতে বলা হয়নি! জিলিপি, সিঙাড়ার ভুয়ো খবর দেখে মুখ খুলল কেন্দ্র
ঠিক কী হয়েছিল?
সুস্থ স্বাভাবিক আর পাঁচটা মানুষের মতোই রোজ কাজে যাচ্ছিলেন ও কাজ থেকে ফিরছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন বাড়ি ফিরে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যান। শরীরের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। মাত্র ৫৩ বছর বয়সী শেখ গুলজারকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় চিকিৎসকের যান তাঁর পরিবার। প্রাথমিক পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, ব্রেনের অর্থাৎ মস্তিষ্কের জটিল সমস্যা। বড় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পুরুলিয়া থেকে দ্রুত কলকাতায় এসে রোগীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন - নুনের সোডিয়াম থেকে বাড়ছে নানা রোগ, স্বাস্থ্যকর নুন খাওয়াতে নয়া উদ্যোগ নিল ICMR
কী বললেন চিকিৎসক?
চিকিৎসক অমিতাভ চন্দের কথায়, হাসপাতালে ভর্তির পর দেখা যায়, তাঁর ব্রেনের টিউমার থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যা পরিস্থিতি বেশ জটিল করে দেয়। রোগীর তরফে টাকাপয়সার কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু সেগুলি তোয়াক্কা না করেই অস্ত্রোপচার শুরু করা হয়। দ্রুত অস্ত্রোপচার করা গিয়েছিল বলে অবশেষে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয় শেখ গুলজারকে।