ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে একপ্রকার একতরফা আধিপত্য দেখাল ভারত। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান তুলে অধিনায়ক শুভমন গিল ডিক্লারেশন ঘোষণা করেন এবং ইংল্যান্ডের সামনে বিশাল ৬০৮ রানের লক্ষ্য স্থির করে ভারত। জবাবে চেজ করতে নেমে ইংল্যান্ড স্টাম্পস পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭২ রান তোলে। শেষ দিনে জয়ের জন্য এখনও তাদের প্রয়োজন ৫৩৬ রান, হাতে আছে ৭ উইকেট।
ভারতের এতোটা জমজমাট পারফরম্যান্সের মাঝেও সমালোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে তার ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে চটে যান প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও কমেন্টেটর নাসের হুসেন এবং মাইক আথারটন।
চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে, যখন শুভমন গিল ১৬১ রান করে দাপট দেখাচ্ছেন এবং ঋষভ পন্ত ৫৮ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন, তখন অপর প্রান্তে থাকা জাদেজা ছিলেন রীতিমতো রক্ষণাত্মক। ওই সেশনে ৬৮টি বল খেলে মাত্র একটি বাউন্ডারি মারেন জাদেজা। তবে টি-ব্রেকের পর তিনি হঠাৎ করেই শোয়েব বশিরকে বিশাল ছক্কা হাঁকান, যা দেখে হতবাক হয়ে যান কমেন্টেটররা।
আথারটন বলেন, ‘ও টি-ব্রেকের আগে এটা করছিল না কেন?’ এর জবাবে নাসের হুসেন মন্তব্য করেন, ‘অদ্ভুত লাগছে। কেন একজন খেলোয়াড়কে টি-ব্রেক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আগ্রাসী হওয়ার জন্য? টেস্ট ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভারত জেতার সুযোগ হারায়, তাহলে সবাই ওই টি-ব্রেকের আগের আধঘণ্টার দিকেই আঙুল তুলবে। তখন প্রশ্ন উঠবে—কেন কোচকে বলতে হবে এবার খেলা এগিয়ে নিয়ে যাও?’
সমালোচকদের মতে, জাদেজা আগেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করলে ভারতের স্কোর দ্রুত ৬০০ রানে পৌঁছে যেত, এবং গিল তাড়াতাড়ি ইনিংস ঘোষণা করতে পারতেন। কিন্তু জাদেজা নাকি স্পষ্ট বার্তা না পাওয়া পর্যন্ত আক্রমণাত্মক হননি এবং সেই বার্তা আসতে দেরি হয়েছে হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের কাছ থেকে।
রবীন্দ্র জাদেজা শেষ পর্যন্ত ১১৮ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করেন, তারপরই শুভমন গিল ৪২৭/৬ স্কোরে ইনিংস ঘোষণা করেন। এই বিলম্বিত সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে, ভারতের জয় যদি কোনওভাবে ফসকে যায়, তবে কি এই ধীরগতির ব্যাটিং এবং দেরিতে ডিক্লারেশন দায়ী থাকবে?