প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন লর্ডসে ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড দলের আচরণে অবাক হয়েছেন। অশ্বিনের দাবি সাধারণত ‘ব্যাজবল’ কৌশলে খেলা ইংল্যান্ড দল এবার যেন বদলে গিয়ে খেলল ‘প্র্যাঙ্কবল’। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিয়োতে অশ্বিন বলেন, ইংল্যান্ড দল তাদের নিজস্ব ক্রিকেটীয় দর্শনকে যেন অস্বীকার করল।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, ‘এটা ইংল্যান্ডের জন্য একটা দারুণ দিন ছিল। সকলেই ভাবছিল ইংল্যান্ড ব্যাজবলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে, কিন্তু ওরা সকলকে ঠকিয়ে প্র্যাঙ্কবল খেলল। যেখানে সাধারণত ওরা ৪ বা ৪.৫ রান রেটে খেলে, সেখানে তারা মাত্র ৩ রানে ওভার চলছিল। আমি আগেই বলেছিলাম, জো রুটের রান করাটা ইংল্যান্ডের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজ ও সেটাই প্রমাণ করল। রুট যেন সময়ের দাবি মেটাল। এই ইনিংসটা টেস্ট ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হয়, তার একটা পাঠ। রুট আবার ছন্দে ফিরেছে।’
বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ধৈর্যের পরীক্ষা দিলেও, ইংল্যান্ডের এমন রক্ষণাত্মক মানসিকতা একেবারেই অপ্রত্যাশিত বলে মনে করেন অশ্বিন। বেন স্টোকস আগের টেস্টে এজবাস্টনের পিচকে উপমহাদেশীয় উইকেটের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এবার লর্ডসের পিচ নিয়েও একই ইঙ্গিত দেন অশ্বিন।
তিনি বলেন, ‘এই পিচে কিছুটা উপমহাদেশীয় বৈশিষ্ট্য আছে। সাধারণত ৬০ ওভারের পর বল নরম হয়ে যায়। কিন্তু যদি আপনি জাদেজার একটি বল দেখেন, যেটা ব্যাক অব দ্য লেন্থ থেকে জো রুটের ব্যাটে খুব নীচু হয়ে লাগে। এটা লর্ডসে, প্রথম দিন এটা একেবারে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী কন্ডিশনের সঙ্গে মেলে না। লর্ডসের পিচে বাউন্স সবসময়ই চ্যালেঞ্জ ছিল, আর সেটা আমরা দেখেছি যখন নীতীশ রেড্ডি দুটি উইকেট তুলে নেয় এবং বেন স্টোকসকে বিপদে ফেলে।’
রবিচন্দ্রন অশ্বিন মনে করেন, যদি ভারত ইংল্যান্ডকে ৩৫০ রানের নীচে আটকে রাখতে পারে, তাহলে ম্যাচে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। তিনি বলেন, ‘এই পিচে বাউন্সে বৈচিত্র্য এবং পেসে পরিবর্তন আছে। আমি যদি ভারতীয় দলের জায়গায় থাকতাম, তাহলে বোলারদের বলতাম, কাল প্রথম সেশনে ওদের গুটিয়ে দাও। ওরা কি ইংল্যান্ডকে ৩৫০ রানের নীচে আটকে রাখতে পারবে? কারণ যত বেশি ইংল্যান্ড ব্যাট করবে, এই পিচ তত বেশি খেলা করবে।’