সাধারণত ক্রিকেট মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে, গৌতম গম্ভীর নিজের উচ্ছাস কখনই দেখাননা। দল ট্রফি জিতলেও তাঁকে তেমন হাসতে দেখা যায়না। তবে এমনিতে গম্ভীর সত্যিই বেশ রাগি মানুষ। তাঁর সঙ্গে অন্যায় হলে, বা কখনও যদি কোনও কারোর ওপর রেগে যান, তাহলে তাঁর সঙ্গে লড়তেও এক মূহূর্ত ভাবেননা। এর উদাহারণ আফ্রিদি- গম্ভীর ঝামেলা বা বিরাট কোহলির সঙ্গে গৌতির ঝামেলা।
ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পর থেকে টিম ইন্ডিয়া হারুক বা জিতুক, ড্রেসিংরুমে বসে তেমন কোনও আচরণ করেননা গম্ভীর। মানে উপযাপন বা উচ্ছাস যতটুকু না করলে নয়, ততটাই দেখান। মেলবোর্ন টেস্টে ভারত যখন ফলো অন বাঁচিয়েছিল কয়েক মাস আগে তখন অবশ্য গম্ভীরকে বেশ আনন্দ করতেই দেখা গেছিল।
যদিও ভারতের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা এই তারকা রবিবার কিন্তু নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না। ওয়াসিংটন সুন্দর ক্লিন বোল্ড করেন জো রুটকে, আর তা দেখেই গম্ভীরের মুখ থেকে বেরোল কিছু বাক্য। ৪০ রানের মাথায় ইংল্যান্ডের সব থেকে নির্ভরযোগ্য ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান সুন্দর যা দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি টিম ইন্ডিয়ার কোচ।
গম্ভীরের এই আচরণের অবশ্য কারণও রয়েছে। জো রুট এর আগে বেঁচে গেছিলেন আম্পায়ার পল রেইফেলের একটি সিদ্ধান্তে। সিরাজের বল স্টাম্পে লাগলেও ফিল্ড আম্পায়ার যেহেতু আউট দেননি, তাই রিভিউয়ের পর আম্পায়ার্স কলই থেকে গেছিল, যা নিয়ে ভারতীয় দলের অধিনায়ক শুভমন গিলের মতোই বিরক্ত ছিলেন দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরও। যেহেতু রুট প্রথম ইনিংসে শতরান করেছিলেন, তাই তাঁর উইকেটের গুরুত্বটা সকলেরই জানা ছিল। তাই রুট আউট হতেই উচ্ছাস দেখান গম্ভীররা।
৪৩তম ওভারের চতুর্থ বলে ওয়াসিংটন সুন্দর পুরো ক্লিন বোল্ড করে দেন জো রুটকে। পঞ্চম উইকেটের পার্টনারশিপও তখন ভেঙে যায়। লেগ স্টাম্পের দিক থেকে রুটকে বোল্ড করেন সুন্দর। বিশ্বের ২ নম্বর টেস্ট তারকা তখন ১টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করে, নিজের ইনিংস আরও বড় করার রাস্তায় হাঁটছিলেন। আর সেই আউটের পরই গৌতম গম্ভীরের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে কিছু শব্দ যা নেটিজেনরা নিজের মতো করেই অনুমান করে নিচ্ছেন।