ভারত বনাম ইংল্যান্ড লর্ডস টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষে তপ্ত পরিস্থিতি দেখা যায় ২২ গজের আশপাশে। ক্রিজে তখন ছিলেন ইংরেজ ওপেনার জ্যাক ক্রউলি, আর বল হাতে তখন ভারতের সুপারস্টার বুমরাহ। ওভারের মাঝেই বুমরাহ পঞ্চম বলে জ্যাকের হাতে চোট লাগে। তার আগেও জ্যাক, কয়েকবার বল করতে আসা বুমরাহকে রান আপ নেওয়ার আগে রোখেন। তবে পঞ্চম বলে, হাতে চোট পেয়ে জ্যাক ফিজিওকে ডাকতেই হঠাৎই মাঠে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক শুভমনকে ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায়। এই ক্ষোভে বহিঃপ্রকাশ যদিও শুভমনের জন্য স্বভাবসিদ্ধ মেজাজ নয় বলেই মত অনেকের। কিন্তু কেন রেগে যান ভারতের টেস্ট ক্যাপ্টেন?
লর্ডসের তৃতীয় দিনের শেষ ওভারে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ে ভারত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল। ম্যাচের শেষে কে এল রাহুল সংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানে তিনি গোটা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন। রাহুল বলেন,' শেষে যা হয়েছে তা খেলারই অংশ এখন। আমি একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। আমিও বুঝেছি কী চলেছে, আর সবাইই জানে কী চলেছে। তবে একজন ওপেনিং ব্যাটারই বুঝতে পারবে শেষ ৫ মিনিটে কী ঘটেছে।' রাহুল বলেন, ‘শেষের দিকে একটু নাটকীয়তা চড়েছে,… আমরা সবাই জানি যে, সারা দিন ফিল্ডিং এর পর ২ ওভার ব্যাট করা কী জিনিস.. আমরা আশা করছিলাম ওখানে যদি উইকেট পাওয়া যায়।’ রাহুল বলছেন, দিনের শেষে একটা উইকেট পাওয়া বেশ ‘পারফেক্ট’ ব্যাপার হত। তিনি সাফ জানাচ্ছেন, চতুর্থ দিনের জন্য ভারতীয় শিবির ‘জ্বলে উঠবে’।
গিল কেন রেগে গিয়েছিলেন?
আপাতভাবে ধীর স্বভাবের শুভমন গিলকে লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ ওভারে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায়। মাঠে বেশ কিছু অঙ্গভঙ্গি করতেও দেখা যায় ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ককে। গিলের এই রাগের সঙ্গে অনেকেই বিরাটের মেজাজের তুলনা করতে শুরু করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেন এমন রেগে গিয়েছিলেন গিল? রাহুল বলছেন,' হ্যাঁ আমিও ওকে রেগে যেচে দেখলাম।আমরা ২ ওভার বল করতে চেয়েছিলাম। ৬ মিনিট বাকি ছিল। স্বভাবতই এটার জন্য আলাদা বুদ্ধি লাগেনা যে, ৬ মিনিটে যেকোন টিম ২ ওভার বল করতে পারে।' উল্লেখ্য, দিনের শেষে ইংল্যান্ড বিনা উইকেটে ২ রানে ইনিংস স্কোর দাঁড় করায়। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে এক ওভার বল করেছে। এর আগে প্রথম ইনিংসে ২ দলই সমান রান করে ইনিংস শেষ করেছে।