লিগের ১০ ম্যাচে ৭টি হার, কোনও রকমে এবছর মেজর লিগ ক্রিকেটের প্লে-অফে ওঠে এমআই নিউ ইয়র্ক। তবে এলিমিনেটর ও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে সেই এমআই পৌঁছে গেল টুর্নামেন্টের ফাইনালে। শনিবার নিকোলাস পুরানের নেতৃত্বাধীন এমআই এমএলসি ২০২৫-এর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হারিয়ে দেয় লিগের ১০ ম্যাচে ৭টি জয় তুলে নেওয়া টেক্সাস সুপার কিংসকে।
ডালাসের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে টেক্সাস সুপার কিংস। ক্যাপ্টেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি ও আকিল হোসেনের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে।
ডু'প্লেসি ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৫৯ রান করেন। আকিল হোসেন ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ বলে ৩২ রান করে নট-আউট থাকেন ডোনোভন ফেরেইরা। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৬ রান করে মাঠ ছাড়েন মার্কাস স্টইনিস।
এমআইয়ের হয়ে ৪ ওভারে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন ত্রিস্তান লাস। ৪ ওভারে ৩১ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন রুশিল উগারকার। উইকেট পাননি ট্রেন্ট বোল্ট, কায়রন পোলার্ডরা।
পুরান-পোলার্ড জুটিতে দাপুটে জয় MI-এর
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এমআই নিউ ইয়র্ক ১৯ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৬ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালের টিকিট পকেটে পোরে এমআই।
৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্যাপ্টেন নিকোলাস পুরান। ২২ বলে ৪৭ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন কায়রন পোলার্ড। তিনিও ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে ৪৯ রান করেন মোনাঙ্ক প্যাটেল।
কুইন্টন ডি'কক ৬ ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ৮ রান করে আউট হন। সুপার কিংসের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আকিল হোসেন, জিয়া উল হক ও নূর আহমেদ। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নেন কায়রন পোলার্ড। ভারতীয় সময় অনুযায়ী আগামী সোমবার মেজর লিগ ক্রিকেট ২০২৫-এর ফাইনালে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের নেতৃত্বাধীন ওয়াশিংটন ফ্রিডমের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে এমআই নিউ ইয়র্ক।