আজকাল মানুষ আধুনিক জীবনযাত্রার অংশ হয়ে উঠেছে, যেখানে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা, গভীর রাতে ডিনার করা, একটানা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা বা দেরিতে পার্টি করে বাড়ি ফিরে আসা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ঘুম এবং খাওয়ার সময়সূচীও বদলে গিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ রাত ৯টার পরে বা তারও পরে খায়, যার সরাসরি প্রভাব মানুষের স্বাস্থ্যের উপর পড়ে। বার্ধক্যের পরে এর ক্ষয়ক্ষতি বহন করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে, যদি সময়মতো এই সমস্ত বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়া হয়, তাহলে অনেক ধরণের রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আজকের প্রতিবেদনে, আমরা আপনাকে রাত ৯:০০ টার পরে রাতের খাবার খাওয়ার শরীরের উপর কী প্রভাব পড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলব। এই অসুবিধাগুলি জানার পর, আপনি অবিলম্বে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন আনতে পারেন যাতে আপনি একটি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।
রাতের খাবার নিয়ম করে খেলে কী উপকার
শরীরের প্রতিটি দিক একটি ছন্দ অনুসারে কাজ করে। এমন পরিস্থিতিতে, দেরিতে রাতের খাবার খেলে এই ছন্দ ব্যাহত হতে শুরু করে। রাতের সময় হল এমন সময় যখন বিপাকক্রিয়া দিনের মতো দ্রুত হয় না। এমন পরিস্থিতিতে, রাতে খাবার হজম করার জন্য আরও বেশি প্রচেষ্টা করতে হয়, যা বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি ইত্যাদির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই, রাতের খাবারের সময় একটু তাড়াতাড়ি করুন যাতে আপনার এই ধরনের সমস্যা না হয়।
যদি আপনি দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছেন, তাহলে এর একটি বড় কারণ হতে পারে রাতের খাবার দেরিতে খাওয়া। রাতে ক্যালোরি পোড়া হয় না, যার কারণে শরীর সেগুলি সঞ্চয় করে। এছাড়াও, দেরিতে খাওয়ার পর ঘুমালে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ডায়াবেটিস এবং বিপাকীয় ব্যাধির ঝুঁকি বাড়ায়।
খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়লে পেট ভারী লাগে, যার কারণে সঠিকভাবে ঘুমাতে পারে না। প্রায়শই এই কারণগুলির কারণে, বুকে জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তিও অনুভব হয়। ভালো ঘুমের জন্য, ডাক্তাররা ঘুমানোর কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা আগে খাবার খাওয়ার পরামর্শও দেন। যারা এই নিয়ম মেনে চলেন তারা সুস্থ জীবনযাপন করেন।
রাতে দেরিতে খাওয়ার ফলে অস্বাভাবিক কর্টিসল এবং ইনসুলিনের মাত্রা দেখা দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্লান্তি, মেজাজের পরিবর্তন এবং হরমোনজনিত ব্যাধির কারণ হতে পারে। এটি বিশেষ করে মহিলাদের মাসিকের সময় অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।