লর্ডস টেস্টেক তৃতীয় দিনে যখন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ঋষভ পন্ত ব্যাটিং করতে এসেছিলেন তখন ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের থেকে পিছিয়ে ছিল ২৪২ রানে। এরপর দুই ক্রিকেটার মিলিয়ে ১৪১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। রাহুল শতরান করেন। পন্ত আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৭৪ রানের মাথায়। শতরানের সুযোগ হেলায় নষ্ট করেন ঋষভ। নিজের দোষেই একপ্রকার আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে।
লোকেশ রাহুল তখন ৯৮ রানে খেলছেন, আর পন্ত ছিলেন ৭৪ রানে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে সেটাই ছিল শেষ ওভার। সেই সময় পন্ত চেষ্টা করেন রাহুলকে স্ট্রাইকে আনার, যাতে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই রাহুল নিজের শতরানটা করে ফেলতে পারেন। ক্রিকেটাররা ছন্দে থাকলে সেই সেশনেই সাধারণ মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলতে চায়। পন্তও রাহুলকে সেটাই করার সুযোগ দিতে চেয়েই বিপদ ঘটান। কারণ বল স্টোকসের হাতে দিয়েই একপ্রকার দৌড়াতে যান পন্ত, আর ইংরেজ অধিনায়ক সরাসরি থ্রোতে আউট করে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন ঋষভকে। তাতেই ভারতের জুটি ভেঙে যায়।
দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পন্তের আউট হওয়া প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন লোকেশ রাহুল। তিনি বলেন,‘আমার সঙ্গে ওর আউট হওয়ার কয়েক ওভার আগেই কথা হচ্ছিল, যে আমি চাইব লাঞ্চের আগেই শতরান করে নিতে। আর বাশির যেহেতু লাঞ্চের আগে শেষ ওভার করছিল, তাই আমি ভাবছিলাম এটাই সুযোগ আমার শতরানটা সেড়ে ফেলার। এরপর আমি একটা শট খেলার চেষ্টা করি, কিন্তু সেটা ফিল্ডারের হাতে চলে যায়। এরপর পন্তও চাইছিল স্ট্রাইক রোটেট করে আমায় সুযোগ দিতে। কিন্তু এটা হওয়া উচিত নয়। ওর রান আউট হওয়াটা ওই পরিস্থিতিতে পুরো মোমেন্টামটাই বদলে দিয়েছে। আমরা দুজনেই হতাশ হয়েছিলাম। কারণ কেউই চায় না ওভাবে নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে দিতে’।
রাহুল এরপর আরও বলেন, ‘চায়ের আগে পর্যন্ত আমরা ভালো জায়গায় ছিলাম। আমি আর ঋষভ বড় পার্টনারশিপ করার পরও দুজনেই পরপর আউট হয়ে গেছি। ও লাঞ্চের আগে আউট হয়েছে, আর আমি লাঞ্চের পরেই। টপ ফাইভের সেট ব্য়াটারদের মধ্যে ২-১ জনের থেকে বড় রান সব সময়ই দল আশা করে, এভাবেই টেস্টে এগিয়ে যেতে হয় ’।