এই মুহূর্তে ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’ ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে 'ভবানী' শ্বশুর বাড়িতে এসেছে। নাটোরের রাজগুরু মনে করেছিলেন 'ভবানী' দেবাংশী। তাঁর আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই নাটোর রাজপরিবারের কুলদেবী জয়দুর্গা ফের তাঁর মন্দিরে ফিরবেন, থাকবেন তাঁর সিংহাসন আলো করে। কিন্তু তা না হওয়ায় ভিবানীকে শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই দেবী ভবানীকে স্বপ্নাদেশে দেন। তাঁকে নিয়ে ফের 'ভবানী' ফেরেন রাজবাড়িতে। জানান, দেবী ভবানী হলেই দেবী জয়দুর্গার আর এক রূপ।
আরও পড়ুন: ‘সাইয়ারা’ কবে কোন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে? প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ
তবে সে কথা রাজগুরু বিশ্বাস না করায় আপাতত ভবানীর ঘরেই মা ভবানীর সিংহাসন পাতা হয়। অন্যদিকে, রাজহেঁশেলে শুরু হয় ভবানীর পরীক্ষা। জলছাড়া পোলাও বানানোর ভার পড়ে তাঁর উপর। শেষে থোড়ের জল দিয়ে পোলাও রেঁধে তার স্বাদে সকলকে মুগ্ধ করে দেয় ভবানী। কোনও ভাবেই ভবানী আর রামকান্তকে বিপদে ফেলতে না পেরে দেবীপ্রসাদ ফন্দি এঁটে ওলন্দাজ সাহেবের সঙ্গে হাত মেলায়। অন্যদিকে, রাজবাড়িতে হয় ভবানী আর রামকান্তর প্রীতিভোজের আয়োজন। সেই প্রীতিভোজে হাজির হয় জগৎশেঠ থেকে কৃষ্ণচন্দ্র, রাজবল্লভ সঙ্গে গোপাল ভাঁড়ও। এরপর ভবানী ও রামকান্তর ফুলশয্যার আয়োজন শুরু হয়। তবে তাঁর মাঝে খবর এসে পৌঁছয় রামকান্তর ছেলেবেলার সঙ্গে তাঁর এক সময়কার বাগদত্তা পুঁটি অসুস্থ। তাই ফুলশয্যা ছেড়ে রামকান্ত সেখানে রওনা দেয়।
আর তার মাঝেই সামনে এল মেগার নতুন প্রোমো। সেখানে দেখা গিয়েছে ঝুলন উৎসব পালিত হচ্ছে। তবে ভবানী ইতিমধ্যেই তাঁর স্বামী ও ‘কলাবতী’ ওরফে ‘পুঁটি’র সম্পর্কের ব্যপারে জেনে গিয়েছে। প্রোমোয় ভবানী কলাবতীকে বলে, ‘দিদি তুমি যুবরাজের ছোটবেলার সাথী পুঁটি তাই না?’ তারপর সে চোখে জল রাধা-গোবিন্দকে প্রণাম জানাতে জানাতে মনে মনে বলে, 'নাটোরের যুবরাণী হয়েও যুবরাজের মন জুড়ে আছে পুঁটি দিদি আমি নই। আর অন্যদিকে, দেবীপ্রসাদের সঙ্গে যে ওলন্দাজ সাহেবের বন্ধুত্ব হয়েছিল সে পুঁটিকে ধরে আনার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ধনুশের সঙ্গে সত্যি কি প্রেম করছেন মৃণাল? 'শুধু আমার…', যা বললেন অভিনেত্রী
তারপর ভরা উৎসবের ময়দান থেকে পুঁটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হলে তা ভবানীর চোখে পড়ে। তবে সেই দৃশ্য দেখে ভবানী সাময়িক দ্বন্দে পড়ে যায়। তাঁকে মনে মনে বলতে শোনা যায়, ‘যে দ্বন্দই আমার মনে থাকুক প্রজাদের রক্ষা করা আমার কর্তব্য’। সে হাতে তরোয়াল তুলে নেয়। সেই পথ আটাকায় সাহেবদের। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এই রাজ্যে প্রতিটি মেয়ের দায়িত্ব রাজরাণী ভবানীর।’ ভবানীর কথা শুনে তাঁর নামে জয় ধ্বনি শুরু হয়। এত কিছুর পরও ভবানী কলাবতীকে রক্ষা করে দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় রামকান্ত।