ইয়েমেনের উপকূলে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালিয়েছে এক সশস্ত্র গোষ্ঠী। একাধিক ছোট নৌকা থেকে রকেটচালিত গ্রেনেড ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে ওই গোষ্ঠী।ইয়েমেনের লোহিত সাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি অত্যন্ত সক্রিয়। যদিও এই হামলার সঙ্গে হুথি গোষ্ঠীর কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ব্রিটেনের রয়াল নেভি পরিচালিত ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) জানিয়েছে, রবিবার ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরের ৫১ নটিক্যাল মাইল (৯৪ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পশ্চিমে এই হামলা হয়েছে।একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী একাধিক ছোট ছোট নৌকা নিয়ে ওই জাহাজটিতে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি ব্রিটেনের সংস্থার।ইউকেএমটিওর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাহাজটিকে একাধিক ছোট নৌকা ঘিরে রেখে গুলিবর্ষণ ও রকেটচালিত গ্রেনেড ছোড়ে বলে অভিযোগ। এরপরেই সশস্ত্র নিরাপত্তা দল পাল্টা গুলি চালায় এবং পরিস্থিতি এখনও চলমান।’
আরও পড়ুন-স্কুলের একটি দেওয়াল রঙ করতেই খরচ ১ লক্ষ! MPতে শোরগোল, বিপাকে পড়ে তদন্ত
এছাড়া ব্রিটেন ভিত্তিক নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামবে জানায়, আটটি স্কিফ (ছোট নৌকা) একসঙ্গে জাহাজটির দিকে এগিয়ে এসে প্রথমে ছোট অস্ত্র ও পরে রকেটচালিত গ্রেনেড দিয়ে আক্রমণ চালায়। জাহাজটি লোহিত সাগরে উত্তরমুখে যাত্রা করছিল।হোদেইদা শহরটি ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। যদিও কোনও গোষ্ঠী এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ব্রিটেন। একইসঙ্গে ওই পথে চলাচলকারী জাহাজগুলিকে সাবধান থাকতে পরামর্শ দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন-স্কুলের একটি দেওয়াল রঙ করতেই খরচ ১ লক্ষ! MPতে শোরগোল, বিপাকে পড়ে তদন্ত
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর ও এডেনে উপসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা শুরু করে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সামরিক হামলা শুরু করলে হুথি তাদের লক্ষ্যবস্তুতে দু দেশের সংযুক্ত জাহাজগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করে।২০২৪ সালের মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছলেও হুথি জানায়, তারা লোহিত সাগরে ইজরায়েলি জাহাজে হামলা চালানো অব্যাহত রাখবে।এই বিদ্রোহীরা এখনও পর্যন্ত ডজনেরও বেশি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। যার ফলে অনেক শিপিং কম্পানি লোহিত সাগর এড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার আশপাশ দিয়ে বিকল্প পথ অবলম্বন করছে। আন্তর্জাতিক শিপিং চেম্বার জানিয়েছে, সাধারণত বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ এই রুট দিয়ে পরিবাহিত হয়।