মেটলাইফ স্টেডিয়ামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই পিএসজিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নেয় চেলসি। প্রথমার্ধেই চেলসি ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। এরপর আর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা পিএসজি কোনওমতেই ম্যাচে ফিরতে পারেনি। জোয়াও পেদ্রোকে দিয়ে একটি গোল করানোর পাশাপাশি একাই দুটি গোল করেন ইংলিশ ফুটবলার কোল পালমার। বাঁপায়ের নিখুঁত প্লেসিং এবং অ্যাসিস্টে তিনি মুগ্ধ করে দেন মাঠে উপস্থিত দর্শকদের। ফরাসি দলটির গোলরক্ষক ডোনারাম্মার কিছুই করার ছিল না গোল তিনটির ক্ষেত্রে, কারণ তাঁদের ডিফেন্সের ল্যাপস বড্ড বাজে ভাবেই নজরে আসে।
ম্যাচ শেষে তুমুল ঝামেলায় জড়ান দুই দলের ফুটবলাররা। চেলসির আন্দ্রে স্যান্তোষকে ঘিরে ধরেছিলেন ফরাসি দলটির গোলরক্ষক ডোনারাম্মা এবং ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। তা দেখেই সতীর্থ আন্দ্রেকে বাঁচাতে যান পেদ্রো, কিন্তু এরই মাঝে পিএসজির কোচ পিছন থেকে এসে ঝামেলায় জড়ান। এরপর পেদ্রোকে ধাক্কা মারেন, তাতেই পেদ্রো মাটিতে পড়ে যান। ম্যাচ শেষে এনরিকের মতো একজন পেশাদার এবং অভিজ্ঞ কোচের থেকে এমন আচরণ আশা করেননি অনেকেই।
ম্যাচ শেষে ঝামেলার কথা জিজ্ঞাসা করা হয় ম্যাচের গোলদাতা পেদ্রোকে। তখন তিনি বলেন, ‘আমি ওখানে আন্দ্রেকে বাঁচাতে গেছিলাম। কারণ আমি দেখছিলাম যে ওকে ওদের প্লেয়াররা ঘিরে ধরেছে। একজন ব্রাজিলিয়ানের মতোই আমি আমার বন্ধুকে বাঁচাতে গেছিলাম। অনেকেই সেই ঝামেলায় জড়াচ্ছিল। কিন্তু এরপর আমিই ধাক্কা খেয়ে গেলাম, তবে এটা খেলারই অঙ্গ। ওরা হারতে জানে না, কিন্তু এটাই ফুটবল ’।
এনরিকে অবশ্য ম্যাচ শেষে নিজের দোষ ঝেড়ে ফেলার জন্য মরিয়া চেষ্টা করলেন। তিনি বললেন, ‘ম্যাচের শেষে একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যেটা চাইলেই এড়ানো যেত। আমার উদ্দেশ্য ছিল অশান্তি থামানো, আর খেলোয়াড়দের আলাদা করা যাতে ঝামেলা না বাড়ে। কিন্তু সবার আবেগ জড়িয়ে ছিল, ধাক্কাধাক্কি চলছিল। এটা চাইলেই এড়ানো যেত, তবে আমি আবারও বলছি, আমার উদ্দেশ্য ছিল ঝামেলা থামাপো ’। কোল পালমার ক্লাব বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল পান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।