ভারতের ওপর ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে। সঙ্গে তিনি খোঁচা দিয়ে এও বললেন, 'এই পরিস্থিতির জন্য কংগ্রেসের ৭০ বছরের শাসনামলকে দোষারপ করতে পারবে না।' খাড়গের দাবি, এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের 'বিদেশ নীতির ব্যর্থতা'। এরই সঙ্গে তিনি মোদীর 'নীরবতা' নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। (আরও পড়ুন: 'অনেক মূল্য দিতে হবে জানি, তবে ভারত প্রস্তুত আছে', শুল্ক যুদ্ধের আবহে বার্তা মোদীর)
আরও পড়ুন: ট্রাম্প মুখে ৫০% বললেও ভারতের ওষুধ ও ফোনের ওপর শুল্ক শূন্য, পেট্রোপণ্য ৬.৯ শতাংশ
আরও পড়ুন: ভারতের ওপর ৫০% শুল্প চাপিয়ে রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে পারবেন? মুখ খুললেন ট্রাম্প
আজ এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় মল্লিকার্জুন খাড়গে লেখেন, 'ভারতের জাতীয় স্বার্থ সর্বোচ্চ স্থানে। আমাদের জোটনিরপেক্ষতার আদর্শে নিহিত কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন সময়-পরীক্ষিত নীতি। যে কোনও দেশ এর জন্য যদি একতরফা ভাবে ভারতকে শাস্তি দিতে চায়, তাহলে তারা এটা বুঝতে পারেনি যে ভারত কোন কঠিন ধাতু দিয়ে তৈরি। সপ্তম বহর থেকে শুরু করে পরমাণু পরীক্ষার পর নিষেধাজ্ঞার হুমকি, আমেরিকার সঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্ককে আত্মসম্মান ও মর্যাদার সাথে পরিচালনা করেছি। আর ট্রাম্পের এই ৫০% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এসেছে, যখন আমাদের কূটনীতি ভয়াবহভাবে পিছিয়ে পড়ছে।' (আরও পড়ুন: 'নত হবে না ভারত', ট্যারিফ নিয়ে বার্ত গোয়েঙ্কার, 'সুযোগ' দেখতে পাচ্ছেন মাহিন্দ্রা)
আরও পড়ুন: 'শুল্ক শুল্ক খেলায়' নিজের দেশের পকেট কেটে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!
এরপর কংগ্রেস প্রধান আরও লেখেন, 'নরেন্দ্র মোদীজি, ট্রাম্প যখন তিরিশেরও বেশি বার দাবি করেন যে তিনি সংঘর্ষবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছেন, তখন আপনি চুপ ছিলেন। ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে তিনি ব্রিকস দেশগুলির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপাবেন, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদী সেখানে বসে মুচকি মুচকি হাসছিলেন। আর ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন 'ব্রিকস মৃত'। ট্রাম্প এই পারস্পরিক শুল্ক কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা করছিলেন। আমরা সবাই এর বিষয়ে জানতাম। তবে আপনি কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা সহ একাধিক খাতে এর প্রভাব কমাতে কোনও পদক্ষেপ করেননি। আপনার মন্ত্রীরা আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে ব্যর্থ হন। আর এখন ট্রাম্প আমাদের সঙ্গে প্রাতরণা করছেন। কিন্তু আপনি চুপ আছেন।' (আরও পড়ুন: মার্কিন শুল্ক হুমকিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর ভারতের)
আরও পড়ুন: 'আরও নিষেধাজ্ঞা জারি হবে', ভারত সংক্রান্ত প্রশ্ন শুনেই বড় দাবি ট্রাম্পের
খাড়গে এরপর লেখেন, '২০২৪ সালে আমেরিকায় ভারতের রফতানি ৭.৫১ লাখ কোটি টাকার ছিল। তার ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কের অর্থ ৩.৭৫ লাখ কোটি টাকার বোঝা। আমাদের ক্ষেত্রগুলি যেমন - MSME, কৃষি, দুগ্ধ প্রকৌশল সামগ্রী, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, রত্ন ও অলংকার, ওষুধ প্রস্তুত ও জৈবিক রাসায়ণিক, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং সুতির তৈরি পোশাক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনার সরকার এটা কিভাবে মোকাবিলা করবে তা বুঝতে পারছে না। আপনি কংগ্রেসের ৭০ বছরের শাসনামলের উপর এই বিদেশ নীতির বিপর্যয়ের দোষাও চাপাতে পারবেন না।'