খুব শীঘ্রই দেশ নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেতে চলেছে এবং এ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) এবং বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক উভয়ই তাঁদের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনও প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে রিটার্নিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশ সফর থেকে ফিরে আসার সাথে সাথে এনডিএ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে। সেখানে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নামে স্ট্যাম্প পড়তে পারে।
সূত্রের খবর, প্রার্থী হিসেবে নিজেদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একজন অভিজ্ঞ মুখের কথা ভাবছে বিজেপি। এ জন্য শরিক পক্ষগুলোর সম্মতিও নেওয়া হবে সেই বৈঠকে। ওবিসি সম্প্রদায় থেকে আসা এক নেতার নাম আলোচনায় রয়েছে, অন্যদিকে জেডিইউ থেকে আসা রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশকেও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে বিজেপি বরাবরই এই পদগুলির জন্য চমকপ্রদ নাম দিয়েছে।
সংখ্যার খেলা কী বলছে? লোকসভায় এনডিএ-র পক্ষে ২৯৩ জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে, সেখানে ইন্ডিয়া ব্লকের ২৩৪ জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে। রাজ্যসভায় এনডিএ-র প্রায় ১৩০ জন সাংসদ রয়েছেন, যেখানে ইন্ডিয়া ব্লকের মাত্র ৭৯ জন সাংসদ রয়েছেন। উভয় কক্ষে মোট সদস্য সংখ্যা ৭৮২ জন। উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য কমপক্ষে ৩৯২টি ভোটের প্রয়োজন হবে এবং এনডিএ-র পক্ষে ৪২৩ জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এনডিএ প্রার্থীর উপরাষ্ট্রপতি হওয়া প্রায় নিশ্চিত।
এদিকে এনডিএ-র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও বিরোধী ইন্ডিয়া জোট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এই নির্বাচনে প্রার্থী দাঁড় করাবে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বুধবার জানিয়েছিলেন যে শীঘ্রই ইন্ডিয়া ব্লকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, বিরোধীরা মনে করছেন, এই সংখ্যার বিষয়টি তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ইস্যু নয়, তাই তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে পিছু হটা উচিত নয়।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার কারণে ধনখড় রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন, তাই সংসদীয় কাজকর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদের শূন্যপদ পূরণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে ধনখড়ের পদত্যাগের পর থেকেই নানা জল্পনা এবং গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তাঁকে নিয়ে। এই আবহে পরবর্তী প্রার্থী বাছাই নিয়ে সতর্ক থাকবে বিজেপি।