চলছিল বৈঠক। নবান্নে হাইভোল্টেজ বৈঠক ডাকা হয়েছিল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্প নিয়ে। জানা যায়, এই বৈঠক ডেকে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে বৈঠকে দুপুরর আড়াইটা নাগাদ উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যে পর পর তৃণমূল নেতাদের খুন ঘিরে।
কোচবিহারে সঞ্জীব রায়,বাঁকুড়ার সোনামুখীর সেকেন্দার খাঁ, কোন্নগরের পিন্টু চক্রবর্তী সহ গত কয়েক মাসে রাজ্যে একাধিক তৃণমূল নেতা ও শাসক ঘনিষ্ঠরা খুন হয়েছেন। আর এই খুনের ঘটনাগুলি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তাবড় কর্তারা। সেখানেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা- আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ভার পুরোটা থানার আইসি-ওসিদের উপরে ছেড়ে দিলে চলবে না। নিজেদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। এমনই দাবি সূত্রের। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, থানার ভূমিকা ভালো করে দেখতে হবে। আইবি কেন খবর পাচ্ছে না? প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বহু জেলার জেলাশাসক এবং বিভিন্ন জেলার এসপি থেকে শুরু করে কমিশনারেটের সিপিরা।
( Astrology: বক্রী শনি, মার্গী বুধে সাড়েসাতিতে থাকা জাতক জাতিকাদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে? রইল জ্যোতিষমত)
( Ardha Kendra Yog Astrology: অর্ধকেন্দ্র যোগে ১৪ অগস্ট থেকে ঘুরবে খেলা! লাকিদের কপালে কী কী আসছে?)
পুলিশের পরিবারের সদস্যরা কী নিয়ে গর্জে উঠলেন ?
আরজি কর কাণ্ড ঘিরে সদ্য উত্তপ্ত হয় কলকাতার একাধিক জায়গা। এদিকে, সেই মিছিলে পুলিশকে কুকথা বলার অভিযোগ ওঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। পুলিশের ওপর মারধর চালানোর অভিযোগও দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে গর্জে ওঠেন পুলিশ পরিবারের সদস্যরা। এদিন তাঁরা পথে নেমে প্রতিবাদ জানান। অভিযোগের সুর চড়া করে তাঁরা বলেন, ‘নবান্ন অভিযানে বিরোধী দলনেতা বাজে ভাষায় নগরপালকে' নিয়ে কথা বলেছেন, তাঁদের দাবি, ‘এটা মানা যায় না।’ এদিকে, পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সাংবাদিক বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল ইস্যুতে প্রশ্ন করলে পুলিশ পরিবারের এক সদস্য বলেন,' ব্যাপারটা জানাজানি হতেই উনি ক্ষমা চেয়েছেন।..' তিনি বলেন, তখনও প্রতিবাদ হয়েছে, পাশপাশি তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই, এক পুলিশ অফিসারের পরিবার তুলে ঘৃণ্য ভাষায় কথা বলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বীরভূমের কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে।