এসআইআর নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আতঙ্কে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা তোলার এরিক পড়ে গিয়েছে বহু এলাকায়। ২০০২ সালের রাজ্যের ভোটার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই সময়ের বহু বুথের নথি এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর জানিয়েছে, যেসব বুথের তালিকা উদ্ধার সম্ভব হয়নি, সেগুলি কমিশনকে চিহ্নিত করে জানানো হবে। অনুমোদন মিললে ওইসব ক্ষেত্রে ২০০৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিহারে এসআইআর 'ভোটার-বিরোধী' নয়! কমিশনের পাশে দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ SC-র
সিইও দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ২০০২ সালে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভায় মোট বুথ ছিল ৮০ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে অধিকাংশ আসনের তালিকা হাতে এলেও, বহু জেলার অনেক বুথের তথ্য নেই। কিছু ক্ষেত্রে আবার কাগজ নষ্ট, লেখা অস্পষ্ট বা নথি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওয়েবসাইটে আপলোড করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রথম দিকে আশা করা হয়েছিল, জেলা প্রশাসনের সংরক্ষিত নথি থেকে সব বুথের তালিকা পাওয়া যাবে। কিন্তু ২৩ বছর আগের পূর্ণাঙ্গ নথি উদ্ধার প্রক্রিয়ায় একাধিক জায়গায় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভায়। সেখানে প্রায় ২০০ বুথের একটি ভোটার তালিকাও মেলেনি। বীরভূমের রামপুরহাট বিধানসভার একটি বুথ এবং উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার প্রায় ১০০ বুথের তালিকাও অনুপস্থিত। একই ধরনের সমস্যা বিভিন্ন জেলায় দেখা গেছে। সিইও দফতরের আশঙ্কা, ২০০২ সালের তালিকায় নাম না পাওয়া গেলে বহু মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারেন। এমনকি ভোটার তালিকা থেকে নিজেদের নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে। তাই কমিশনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে বুথগুলির ২০০২ সালের তালিকা নেই, সেখানে বিকল্প হিসেবে ২০০৩ সালের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে, যা এখন সহজলভ্য।