২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বেশ ঘটা করে বিয়ে করেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের নায়িকা রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। যদিও মিথিলার এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম বিয়ে হয় তাহসানের সঙ্গে। আর সেই বিয়ে থেকে একটি সন্তানও হয় তাঁর, নাম আয়রা। একটা সময়, সৃজিতের সঙ্গে সংসার করতে, আয়রাকে নিয়েই ভারতে চলে এসেছিলেন মিথিলা। যদিও বছরখানেক পর ফের বাংলাদেশেই চলে যায় আয়রা। আপাতত সেখানেই থাকে সে।
সৃজিত ও মিথিলার বিয়ে নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। অনেকেরই মতে, বিবাহবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন তাঁরা। তবে দেখা গেল এবার আয়রার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করলেন সৃজিত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে। আসলে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে কাজ করেছে ছোট্ট আয়রা। মায়ের সঙ্গে একটি ফেসওয়াশের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছে সে। আর সেই বিজ্ঞাপনটিই ভাগ করলেন সৃজিত তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে।
সৃজিত ও মিথিলার সেই বিজ্ঞাপনটি শেয়ার করে প্রাউড ফাদার সৃজিত লিখলেন, ‘Ayruuuuuuu, you rockstar!!!😍😍😍’।
সৃজিত আর মিথিলাও ফ্রেমবন্দি হন না আজকাল একসঙ্গে। বাংলাদেশের নায়িকার কলকাতা আসা এখন শুধুই কাজে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের গায়ক-অভিনেতা তাহসান রহমান খানকে বিয়ে করেন মিথিলা। সেই সময় পড়শি দেশের ড্রিম কাপল ছিল মিথিলা ও তাহসানের জুটি। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল জন্ম হয়েছিল আইরা তাহরিম খানের। তবে ২০১৭ সালে এসে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তাহসান-মিথিলা। তবে তাঁরা আলাদা হয়ে গেলেও, যৌথভাবে নিয়েছেন সন্তানের দায়িত্ব।
সম্প্রতি বাংলাদেশের এক পডকাস্টে তাহসানের সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে কথা বলেন মিথিলা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মানুষ বাইরে থেকে দেখেছে আমাদের। তাঁদের কল্পনার দম্পতি আমি। বাস্তবটা কিন্তু একদম আলাদা। একটা কারণে কখনো ডিভোর্স হয় না। অনেকগুলো কারণ থাকে এর পিছনে। তবে আমি কারও প্রতি ক্ষোভ রাখি না। আমি পিছনে থাকি না। আয়রা-র সঙ্গে ওর বাবার সম্পর্ক খুব ভালো। বাবাকে খুব ভালোবাসে। তাই আমরা ওর জন্য অন্তত একসঙ্গে হওয়ার চেষ্টা করি।’
এদিকে, বৈবাহিক সম্পর্কের সমীকরণ এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি মিথিলা বা সৃজিত কোনোপক্ষই। শুধু মেয়েকে কলকাতার স্কুল ছাড়িয়ে ফের বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া নিয়ে তাঁর জবাব ছিল, ‘আমার ঢাকায় চলে যাওয়ার মূল কারণ ছিল, মেয়েকে পরিবারের সাহচর্য দেওয়া।’ মিথিলা জানান যে, যেহেতু আয়রা এখন অনেকটাই ছোট। তাই মেযত্নের জন্য প্রয়োজন পড়ে ঠাকুরদা-ঠাকুমা, শাশুড়ি, বন্ধুদের। আর সেটা রয়েছে বাংলাদেশেই।