লর্ডস টেস্টে বিতর্ক চলছেই স্লো ওভার রেট নিয়ে। তিন দিন কেটে গেছে। এখনও পর্যন্ত দুই দল মিলে বোলিং করেছে ২৩৩ ওভার মতো। অর্থাৎ নির্ধারিত ২৭০ ওভারের থেকে ৩৭ ওভার কম। অর্থাৎ গড়ে যদি দেখা যায়, প্রত্যেক দিনই ১২ ওভার করে কম করেছেন ইংল্যান্ড এবং ভারতের বোলাররা মিলিয়ে। ১২ ওভার বোলিং মানে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট মতো সময় তার মানে নষ্ট হয়েছে। তৃতীয় দিনের শেষদিকে দেখা যাচ্ছিল, ইংল্যান্ডের ব্যাটাররাও পাল্লা দিয়েই সময় নষ্ট করছিলেন। দুই দলই যেভাবে লর্ডস টেস্টে খেলছে, তাতে ম্যাচের আদৌ ফয়সলা হবে কিনা সেই নিয়েও একটা বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।
প্রথম দুই দিনেই প্রায় ২২ ওভার কম বোলিং করা হয়। এমন নয় যে দীর্ঘক্ষণ বৃৃষ্টি বা খারাপ আলোর জন্য খেলা বন্ধ ছিল। ক্রিকেটাররা নিজেরাই একপ্রকার ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করেন। এবার এই নিয়েই নিজের বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক মাইকেল ভন। তিনি দুই দলের অধিনায়ককেই এই নিয়ে একহাত নিয়েছেন।
মাইকেল ভন বলছেন, ‘এখনকার দিকে আমার মনে হয় , জরিমানা করে আর কাজ হচ্ছে না। কারণ এই ছেলেগুলো এখন যথেষ্ট বড়লোক। তাই আমার মনে হয় না টাকা কেটে ওদেরকে শায়েস্তা করা যাবে। এটা দীর্ঘ সময় ধরেই টেস্ট ম্যাচের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি জানি যে আবহাওয়া খুবই গরম, বেশ কয়েকজন ক্রিকেটাররে চোটও লেদেছে। কিন্তু পঞ্চম দিনে গিয়ে তো আমাদের ৯০ ওভার বোলিং করতে হবে। আমি জানি না, কেন টেস্টে প্রথম চারদিনের এমন শামুকের গতিতে খেলা গড়ায়। প্রত্যেক দিন যদি ৯০ ওভার করে বোলিং হয়, তাহলে খেলায় গতি বৃদ্ধি হবে ’।
মাইকেল ভন মনে করেন জরিমানা করে নয়, একদম শক্ত নিয়ম লাগু করেই টেস্টে স্লো ওভার রেট কমানো সম্ভব। তিনি বলছেন, ‘তোমরা ম্যাচের পঞ্চম দিনে দেখতে পাবে যখন বোলার আম্পায়াররা জানে যে ৯০ ওভার করতেই হবে, তখন ওদের তাগিদ কতটা থাকে। সব সময়ই ওরা দৌড়াতে থাকে, এত বেশি ড্রিঙ্কস ব্রেক থাকে না, খুব বেশি দেরিও কেউ ককরে না। আমার মতে বলে, ৯০ ওভার বোলিং করাটা আবশ্যিক করে দেওয়া উচিত, তাহলেই খেলার গতি আরও বাড়বে ’।