অনুরাগী থেকে সহকর্মী সবার সামনেই বারবার মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে জয়া বচ্চনকে। ক্যামেরা দেখলেই রেগে যান তিনি। অনুরাগীদের কাছে আসতেও দেন না। কিন্তু মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ আগস্ট যে ঘটনা ঘটল তাতে রীতিমতো হতবাক সকলে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে সমাজবাদী পার্টির সংসদ জয়াকে সবার সামনে আবার মেজাজ হারাতে দেখা গেল। তবে এবার শুধু মেজাজ হারালেন না তিনি, অনুরাগীর গায়ে হাত পর্যন্ত তুলে দিলেন। গতকাল ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখতে পাওয়া গিয়েছে, জয়া বচ্চন দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন ঠিক সেই সময় অভিনেত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলতে আসেন এক ভদ্রলোক।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মা, উদ্বিগ্ন গোটা পরিবার
আরও পড়ুন: ধুমকেতু মুক্তির আগে ফের বৈঠকের ডাক নন্দনে, দেব-প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার উপস্থিতিতে হবে আলোচনা
প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি অভিনেত্রী কিন্তু পরে বুঝতে পেরেই সেই ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা মারেন তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। দাঁড়িয়ে থাকা সকলেও থতমত খেয়ে যান। ওই ব্যক্তির উপর রাগ দেখানোর পরেই সেখান থেকে প্রস্থান করেন জয়া বচ্চন।
এই গোটা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অভিনেত্রী তথা মান্ডির সংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত X হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘অত্যন্ত অসভ্য এবং সুবিধাবাদী একজন মহিলা। মানুষ ওঁর মেজাজ সহ্য করেন শুধুমাত্র উনি অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী বলে। ওঁকে ওই লাল শাড়ি এবং সমাজবাদী পার্টির টুপি পরে রীতিমতো ঝগড়ুটি ঝুটিওয়ালা মোরগের মতো দেখতে লাগছে। ধিক্কার।’

যদিও এই প্রথমবার নয়, ২০২০ সালে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে নর্দমার সঙ্গে তুলনা করায় কঙ্গনাকে তুলোধোনা করেছিলেন জয়া বচ্চন। জবাবে কঙ্গনা লিখেছিলেন, 'জয়া জি, যদি আমার জায়গায় আপনার মেয়ে শ্বেতাকে কিশোর বয়সে মারধর, মাদকাসক্ত এবং শ্লীলতাহানি করা হত, তাহলে কি আপনি একই কথা বলতেন? অভিষেককে যদি ক্রমাগত ধমক এবং হয়রানির সামনাসামনি হতে হত, যদি একটা সময় সে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চিন্তা করত, তাহলেও কি আপনি একই কথা বলতেন? তাহলে আমাদের প্রতিও সমবেদনা জানান।'
আরও পড়ুন: ভক্তি কি পারবে দুরত্ব ঘোচাতে? ‘বৃন্দাবন বিলাসিনী’- তে কড়া টক্কর তুলিকা-সুদীপ্তার
আরও পড়ুন: ক্যামেরা দেখেই ছুট একরত্তির, ‘ইয়ালিনি যথার্থই তারকাসন্তান…’, বললেন নেটিজেনরা
তবে সব সময় যে জয়াকে নিয়ে কঙ্গনা খারাপ কথা বলেছেন তাও নয়, গত বছর নিউজ এইট্টিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘জয়া জি চলচ্চিত্র জগতে সবথেকে মর্যাদাপূর্ণ মহিলাদের মধ্যে একজন। রাজ্যসভায় তিনি যেভাবে নিজেকে পরিচালনা করেন, সেটা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। আমাদের চলচ্চিত্র জগত থেকে এই ধরনের প্রতিনিধিত্ব করার মতো কেউ আছেন, ভেবেই ভালো লাগে।’