আইআইটি খড়্গপুরে ফের ছাত্রের মৃত্যু। শুক্রবার সকালে রাজেন্দ্র প্রসাদ হলের একটি ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হল চতুর্থ বর্ষের ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম ঋতম মণ্ডল। বন্ধ ঘরের দরজা খুলতেই ২১ বছরের ওই পড়ুয়ার নিথর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: IIT খড়গপুরের ছাত্রের মৃত্যুর আগে ভিডিয়ো কলে কথা, দিল্লির তরুণীকে তলব পুলিশের
জানা গিয়েছে, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চতুর্থ বর্ষে পড়তেন ঋতম। কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার বাসিন্দা। ওই ছাত্রকে সকালে ডাকার চেষ্টা করেও কোনও সাড়া না পেয়ে সন্দেহ জাগে সহপাঠীদের। পরে আইআইটি প্রশাসনকে জানানো হয়। খবর পেয়ে হিজলি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করে বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তখনই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলছে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত নয়। ঋতমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠছে আইআইটি খড়্গপুর ক্যাম্পাসের পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ঘিরে। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে এই নিয়ে সপ্তম ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটল এই নামী প্রতিষ্ঠানের অন্দরে। শুধু এই বছরেই মৃত্যু হয়েছে চার পড়ুয়ার। জানুয়ারি, এপ্রিল, মে প্রতিটি মাসেই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা প্রশাসনকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে। আইআইটি খড়্গপুরে পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কমাতে এবং সময়মতো কাউন্সেলিং সুবিধা পৌঁছে দিতে সদ্য ‘সেতু’ নামে একটি অ্যাপ চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ডিরেক্টর অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তৈরি এই অ্যাপের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে। কিন্তু ‘সেতু’ চালুর আগেই ফের ছাত্র মৃত্যুর এই মর্মান্তিক ঘটনা নিঃসন্দেহে গোটা ক্যাম্পাসে শোক ও উদ্বেগের ছায়া ফেলল।
জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, ‘আইআইটির এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে। তদন্ত চলছে। আইআইটি-র মতো প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ ছড়িয়েছে অভিভাবক মহলেও।