মাত্র ২১ বছর বয়সে মা হয়েছেন অহনা দত্ত। ২৮ জুলাই 'অনুরাগের ছোঁয়া'র নায়িকার কোল আলো করে আসে মেয়ে। অহনার স্বামী দীপঙ্কর দে সবার প্রথম এই খবর সমাজ মাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নেন। তারপর একটু সুস্থ হয়েই অহনা তাঁর প্রোফাইল থেকেও সকলকে এই বার্তা দেন। শুধু তাই নয়। তিনি মঙ্গলবার সকালে একরত্তির একটি ছবিও পোস্ট করেন। আর এবার তাঁর সন্তান জন্মের খবরে মুখ খুললেন মা চাঁদনী গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: 'এই জন্মে শুভশ্রী তাঁর নাম থেকে আমাকে সরাতে পারবে না…', হঠাৎ কেন এমন বললেন দেব?
ডিভোর্সি, বয়সে বড় মেকআপ আর্টিস্টের সঙ্গে ১৮ বছরের মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি চাঁদনী। অগত্যা মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের পাঠ চুকিয়ে দীপঙ্করের সঙ্গে লিভ ইনে জড়ান অভিনেত্রী অহনা দত্ত। তারপর বিয়েও সারেন। বর্তমানে তিনি মা হয়েছেন। তবে মেয়ের সন্তান আসার খবর পেয়েও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি চাঁদনি। মা সাধ দেয়নি বলেও নানা চর্চা শুরু হয়েছিল সামজমাধ্যমে। অবশেষে এবার অহনার কোলে সন্তান আসতে মেয়ে ও নাতনির প্রসঙ্গে মুখ খুললেন চাঁদনী।
আনন্দবাজার ডট কম দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাঁদনী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সব শিশুই ভালো। সবাই যেন সুস্থ থাকে। আমার কোল শূন্য হয়ে গিয়েছে। স্বামীর সাহায্য ছাড়া অহনাকে বড় করেছি। এই ভাবে আমার মেয়েকে কেড়ে নেবে ভাবিনি। প্রার্থনা করি অহনা অনেক টাকা রোজগার করুক। আর ওই মেকআপ আর্টিস্টকে বাড়ি, গাড়ি করে দিক। কারণ যত দিন ওর কাছে টাকা থাকবে তত দিন ও ভালো থাকবে।’
আরও পড়ুন: দুর্গার রূপে কোয়েল, অন্নপূর্ণা বেশে তৃণা! স্টার জলসার মহিষাসুরমর্দ্দিনীতে বড় চমক ‘গীতা’ হিয়ার
প্রসঙ্গত, 'ড্যান্স বাংলা ড্যান্সে'-এ অহনা এবং তাঁর মা চাঁদনী এসেছিলেন জুটি বেঁধে। মা মেয়ের নাচ অল্পদিনেই নজর কাড়ে সবার। আর সেখান থেকেই জানা যায় ডিভোর্সের পর মেয়েই ধ্যানজ্ঞান হয়ে দাঁড়ায় চাঁদনীর। কিন্তু তাঁদের সেই সম্পর্কে ছেদ পড়ে দীপঙ্করের আগমনে।
দীপঙ্কর ডিভোর্সি। আর এমন কাউকে মেয়ে বিয়ে করুক সেটা মোটেই চাননি চাঁদনী। প্রকাশ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একাধিক পোস্টও করেন তিনি সেই সময়। তবে অহনা তাঁর ভালোবাসার মানুষটির হাত ছাড়েননি। বরং ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে গোপনে আইনি বিয়ে সেরে ফেলেন দীপঙ্করের সঙ্গে। তবে সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন ২০২৫ এর ১ জানুয়ারি। তারপর সমুদ্র সৈকত থেকে বরকে পাশে নিয়ে জানান যে তিনি মা হতে চলেছেন। অবশেষে সোমবার তিনি কন্যার জন্ম দেন।