'ধূমকেতু' মুক্তির ঘোষণা হতেই সবার প্রথমে সকলের মাথায় যে ভাবনাটা এসেছিল তা হল দেব ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় কি এই ছবির জন্য একসঙ্গে প্রচার করবেন? কারণ তাঁদের জুটি যে শুধু পর্দায় দর্শকদের মাতিয়ে রাখত তা নয়, বাস্তবেও তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। আর তা ছিল ইন্ডাস্ট্রির ওপেন সিক্রেট। তবে তাঁদের বিচ্ছদে হয়। যদিও 'ধূমকেতু' তাঁদের বিচ্ছেদের পরের ছবি। তবে তারপর আর কখনও কোনও ছবিতে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়। এই ১০ বছরে একসঙ্গে কোনও অনুষ্ঠানে তাঁদের সেভাবে দেখা যায়নি, কেবল একটি অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠান ছাড়া।
আরও পড়ুন: ‘ধূমকেতু’র পর দেব-শুভশ্রী জুটিকে কি ফের একসঙ্গে দেখতে চান প্রসেনজিৎ? প্রশ্নে এ কী করলেন নায়ক
তাই সবাই এটা নিয়েই জল্পনা করেছিলেন যে, ফের তাঁদের এক ফ্রেমে হাসি মুখে দেখা যাবে কিনা। তবে 'ধূমকেতু'র ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে সকলের সেই আশা পূরণ করেছিলেন দেব-শুভশ্রী। তাঁদের মধ্যে জমে থাকা সব মান অভিমান সরিয়ে এক মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছিলেন হাসি মুখে। সেই সন্ধ্যা যে এক নতুন ইতিহাস আর বন্ধুত্বের সাক্ষী হয়েছিল তা তো বলাই বাহুল্য।
তবে এখন আর সেই দূরত্ব নেই। মাঝে একটা সীমারেখা অবশ্যই আছে তবে তা কেবল বন্ধুত্বের। সেখানে না পাওয়ার কোনও আক্ষেপ নেই। প্রাক্তনের প্রতি রাগ নেই। শুধুই আছে নিখাদ বন্ধুত্ব। আর সেই প্রমাণই যেন তাঁরা ফের দিলেন দর্শকদের।
ছবি মুক্তির আগে নৈহাটির জাগ্রত দেবী বড়মার কাছে তাই আশীর্বাদ নিতে পৌঁছে গিয়েছেন দেব-শুভশ্রী। বুধবার সকাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল দেব-শুভশ্রী বড়মার মন্দিরে যাবেন। তবে সেখানে তাঁদের একসঙ্গে আবার দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছিল। অনেকে ভেবেছিলেন তাঁরা আলাদা যাবেন, আবার অনেকে তাঁদের একসঙ্গে দেখতে পাবেন সেই আশায় ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘অভিনেতাদের মধ্যে রাজনীতির রং আসা উচিত নয়…’, তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় হঠাৎ কেন এমন বললেন?
সেই সব আলোচনার অবসান ঘটিয়ে ফের বড়মার মন্দিরে একসঙ্গে ধরা দিলেন দেব-শুভশ্রী। পাশাপাশি আসনে বসে দিলেন মায়ের পুজো। লাল পাঞ্জাবি আর লাল শাড়িতে রংমিলান্তিতে ধরা দিলেন বাংলা ছবির অন্যতম জনপ্রিয় জুটি। দেব ও শুভশ্রী দু'জনের পেজ থেকেই তাঁদের সেই সুন্দর মুহূর্তের ভিডিয়ো সামাজমাধ্যমের পাতায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের পুজো দেওয়ার পাশাপাশি একসঙ্গে বাতি জ্বালাতেও দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
রাত পোহালেই সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বড় পর্দায় মুক্তি পাবে ‘ধূমকেতু’। তার আগে মায়ের কাছে প্রাণ ভরে আশীর্বাদ চেয়ে নেন তাঁরা। শুধু কী তাই? পাশাপাশি বসে তাঁদের একসঙ্গে হেসে কথা বলতেও দেখা যায় সাবলীল ভঙ্গিতে। শেষ মুহূর্তে তাঁদের এই মন্দির দর্শন যে বক্সঅফিসেও বেশ ভালো প্রভাব ফেলবে তাই বলাই যায়।