২০২৩ সালে সন্ত্রাসবাদের গল্প নিয়ে মুক্তি পেয়েছিল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে তৈরি হয়েছিল ব্যাপক বিতর্ক। অনেকেই মনে করেছিলেন, সিনেমাটি তরুণ সমাজ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করবে। তবে এত কিছুর পর যখন সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই ছবিটি জাতীয় পুরস্কার পায়, তখন ফের আরও একবার ছবিটি নিয়ে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেল ‘ধুমকেতু’ ছবির তৃতীয় গান, স্মৃতির জোয়ারে ভাসলেন শ্রোতারা
আরও পড়ুন: প্রথমবার জুটি বাঁধতে চলেছেন রাহুল-সুদীপ্তা, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁদের?
ছবি প্রসঙ্গে
ছবিতে বেশ কয়েকজন তরুণীদের দেখানো হয়েছিল যারা প্রেমের জালে ফেঁসে, মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। পরবর্তীকালে তারা বেছে নেয় জঙ্গি জীবন। ছবিটি মুক্তির পর গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন। বাংলাতেও এই ছবিটি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছিল। যদিও পরবর্তীকালে আইনি জট কাটিয়ে এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল গোটা ভারতবর্ষের জুড়ে। এবার সেরা পরিচালনার জন্য ছবিটি জিতে নিয়েছে জাতীয় পুরস্কার।
সিনেমাটি জাতীয় পুরস্কার পেতেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বিষয়টি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘এই সিনেমাটি খুব স্পষ্ট ভাবে কেরালার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এই রাজ্যে শিক্ষার আলো যথেষ্ট পর্যাপ্ত।’
‘সিনেমায় কেরলের তরুণ সমাজকে যেভাবে দেখানো হয়েছে তা পুরোপুরি ভ্রান্ত। রাজ্যে ধর্মীয় পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই সিনেমাকে যারা পুরস্কৃত করেছেন, তাঁরা নিশ্চিত ভাবে সংঘ পরিবারকে খুশি করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বাড়ি ফিরেই মেয়ের জন্য ব্যাগ ভর্তি শপিং করলেন দীপঙ্কর, কী কী কিনলেন তিনি?
আরও পড়ুন: বড় পর্দার পর এবার ওটিটি, কোথায় কবে মুক্তি পাচ্ছে ‘হাউজফুল ৫’?
মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পোস্ট করে লেখেন, ‘জাতীয় পুরস্কার নয়, বরং এই সিনেমাটিকে আবর্জনার স্তুপে ফেলে দেওয়া উচিত। এই ছবিটি কেরালার ঐতিহ্যকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কেরালা কখনওই এই অপমান মেনে নেবে না।’