মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ৮৮ বছর বয়সে অভিনেত্রী শেষ করলেন তাঁর এই পথ চলা। অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়কে তিনি ছেলের মতোই স্নেহ করতেন, আর ভাস্বরও যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন অভিনেত্রীকে। তাই তাঁর এই চলে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ অভিনেতার। বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে স্যোশাল মিডিয়ায় কিছু কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ভাস্বর।
বুধবার তিনি সামাজ মাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘ফোন থেকে কত নম্বর যে ডিলিট হয়ে গেল এই কয়েক বছরে। ক'দিন আগে নীলাদ্রি লাহিড়ী চলে গেলেন, এবার বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। এক প্রকার বেঁচে গিয়েছেন। অসীম কষ্ট আর লড়াইয়ের হাত থেকে মুক্তি পেলেন। স্বচক্ষে দেখা শারীরীক অসুস্থতা সত্ত্বেও শ্যুটিং করতে আসতেন তিনি। কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে এক অন্য মানুষ। কী দাপুটে অভিনয়! যারা সত্যি ওঁকে ভালবাসেন এবং ওঁর মৃত্যুতে কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁরা ওঁর জীবনীটা পড়ুন 'বাসন্তী রঙে আঁকা'। অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং অভিভূত হবেন।'
প্রসঙ্গত, ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকে তাঁকে ‘ব্রজবালা দেবী'র চরিত্রে দর্শকরা শেষ অভিনয় করতে দেখেছেন। তবে মাঝে মাঝেই অসুস্থতার কারণে তাঁকে বিরতি নিতে হত। একাধিক রোগ দানা বেঁধে ছিল অভিনেত্রীর দেহে। মাসে তাঁর ওষুধ লাগত প্রায় ২০ হাজার টাকার। পাশাপাশি চলত দামি দামি সব ইনজেকশন। তবে এই চিকিৎসার খরচ তিনি নিজেই বহন করতেন।
আরও পড়ুন: ‘ধূমকেতু’র পর দেব-শুভশ্রী জুটিকে কি ফের একসঙ্গে দেখতে চান প্রসেনজিৎ? প্রশ্নে এ কী করলেন নায়ক
বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের ক্যানসার ছিল। তাছাড়াও বুকে পেসমেকারও বসানো হয়েছিল তাঁর। এছাড়াও একটি কিডনিও খারাপ ছিল। নিজের চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য নানা শারীরিক সমস্যা সত্ত্বেও অভিনয়ের কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। তবে শেষ ছয় মাস ধরে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। অবশেষে মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়।

তাঁর মেয়ে সেভাবে তাঁর দেখাশোনা করতে পারতেন না। তবে মেয়ে দেখভাল না করলেও কর্মজগৎ, সহকর্মীদের থেকে তিনি বিস্তর সাহায্য পেয়েছেন। একবার জানিয়েছেন ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকের প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তী তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। অন্যদিকে, এই ধারাবাহিকের আরও এক অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়কে সাহায্য করার আবেদন জানিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেটা দেখে অভিনেতা, অভিনেত্রী সহ সাধারণ মানুষ সাহায্য করেছিলেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়কে।