শিবসেনা ইউবিটি-র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী কঙ্গনা রানাওয়াতের একটি ভিডিয়ো রি-শেয়ার করেছেন এবং অভিনেত্রীর নিরাপত্তায় মোতায়েন দেহরক্ষীদের নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রিয়াঙ্কার শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কঙ্গনা রানাওয়াতের দেহরক্ষী এক প্রবীণ সাংসদকে ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছেন। আর সেই দেহরক্ষীর আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। প্রশ্ন তোলেন, এটা কী ধরনের আচরণ।
প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী প্রথম ভিডিয়োটি পুনরায় শেয়ার করেছেন এবং কঙ্গনা রানাওয়াতের নিরাপত্তায় নিযুক্ত জওয়ানকে সিআইএসএফ সৈনিক হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি লেখেন, ‘এক সাংসদের কর্তব্যরত সিআইএসএফ আরেকজন প্রবীণ সাংসদ শ্রী এনকে প্রেমাচন্দ্রনকে ধাক্কা দিয়েছে, এটা লজ্জাজনক এবং মেনে নেওয়া যায় বা। এসব কী ব্যবহার?’
প্রিয়াঙ্কার পোস্টের জবাবে আবার এক সিআইএসএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভিডিয়োতে কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে যাকে দেখা যাচ্ছে, তিনি সিআইএসএফ জওয়ান নন। নিজের ভুল শুধরে দিয়ে প্রিয়াঙ্কা আবার লেখেন, ‘সুতরাং এক সিআইএফএস স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অন্য সাংসদকে ধাক্কা দিচ্ছে সে তাদের জওয়ান নয়, ওয়াই প্লাস সিকিউরিটি পাওয়ার কারণে সে দিল্লি পুলিশের পিএসও। এটা খুবই লজ্জাজনক, কারণ এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে।’
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা অবশ্য এই পোস্টে প্রিয়াঙ্কার পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন- প্রথমত, কঙ্গনার আর ওয়াই প্লাস সিকিউরিটি নেই। কঙ্গনা যেমন ওই প্রবীণ সাংসদকে চেনেন না, তেমনই পিএসও তাঁকে চেনেন না। কঙ্গনা ঘুরে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তোমার সমস্যা কী? কঙ্গনার টিম দয়া করে তাদের জবাব দিন। তাদের আপনার মনোযোগ প্রয়োজন।
অন্য একজন ব্যবহারকারী জয়া বচ্চনের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন (যেখানে জয়া বচ্চন ব্যক্তিটিকে ধাক্কা দিচ্ছেন) এবং লিখেছেন, ‘এই বিষয়েও কিছু বলুন, ম্যাম।’
আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘জয়া বচ্চনের কথা বলছেন না কেন? ভয় লাগছে?’