২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচন। তবে বিধানসভা নির্বাচন হোক বা লোকসভা নির্বাচন এখন ভোটের ময়দানে ক্রিকেট থেকে ফুটবল এবং বিনোদন জগতের তারকাদের দেখা মেলে অহরহ। বহুদিন ধরে সক্রিয় ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ও। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি সাংসদ পদও সামলাচ্ছেন বহু বছর ধরে। কিন্তু তিনি জানালেন অভিনেতাদের মধ্যে রাজনীতির রং আসা উচিত নয়। হঠাৎ কেন এমন বললেন নায়িকা?
আরও পড়ুন: 'মিঠিঝোরা' শেষ, সৃজিতের সিনেমার শ্যুটিংয়েও ছুটি, কী করছেন আরাত্রিকা এখন?
কিছুদিন আগেই ছিল ২১ শে জুলাই, তৃণমূলের শহীদ দিবস। সেদিন নানা স্তরের অভিনেতা অভিনেত্রীর দেখা মিলেছিল সেই অনুষ্ঠানে। সদ্য মেগায় কাজ শুরু করেছেন এমন মুখ যেমন ছিল, তেমনই বহুদিন ধরে ছবি বা ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত এমন সব অভিনেতা অভিনেত্রীদেরও দেখা মিলেছিল। তবে শুধু তৃণমূল বলে নয় বিজেপি থেকে বামফ্রন্ট সব শিবিরেই বিনোদন জগতের বহু উজ্জ্বল মুখকে দেখা যায়।
দেব থেকে সোহম চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, মিঠুন চক্রবর্তী, দেবদূত ঘোষের মতো অভিনেতারা, পরিচালকরা বহু বছর ধরে রাজনীতি ও বিনোদন দুই জগৎই সমান ভাবে সামাল দিচ্ছেন। আবার অন্যদিনে, ছবি দিয়ে শুরু করলেনও সায়নী ঘোষ থেকে সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাদের লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের দুনিয়ার পরিবর্তে রাজনীতির ময়দানেই বর্তমানে বেশি দেখা যায়।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই বাংলার বক্সঅফিসে বড় রেকর্ড 'ধূমকেতু'র! দেশব্যাপী কবে মুক্তি পাবে দেব-শুভশ্রীর এই ছবি?
একটা সময় মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানদেরও রাজনীতি ও বিনোদন দুই জগত সমান দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে দেখা গিয়েছে। তাছাড়াও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, বনি সেনগুপ্ত, রিমঝিম মিত্র, রূপাঞ্জনা মিত্রের মতো শিল্পীরাও রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন। এছাড়া নতুনদের মধ্যে, তিয়াসা লেপচা, সোহেল দাস, সৌমিতৃষা কুন্ডু, ঋত্বিকা সেনদের মতো অভিনেতাদেরও নানা সময় নানা রাজনীতির মঞ্চে, মিছিলে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে রচনা বন্দোপাধ্যায়কেও সাংসদ পদ সামলাতে দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু এরমধ্যে হঠাৎ শতাব্দী রায় জানালেন অভিনেতাদের মধ্যে রাজনীতির রং আসা উচিত নয়। কিন্তু নিজেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার পর কেন এমন বললেন তিনি? স্টেট আপ উইথ শ্রী পডকাস্টে তিনি এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর মতে, ‘অভিনেতাদের মধ্যে রাজনীতির রং আসা উচিত নয়। ছবির কাজটা তো শৈল্পিক জায়গা। যাঁরা ছবিকে ভালোবাসেন তাঁদের উচিত ছবিতে থাকা।’